টানা দ্বিতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুধবার শপথ নিয়েছেন চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী সাই ইং ওয়েন। আর এরপরই চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র সতর্ক করে দিয়েছেন স্বশাসিত অঞ্চলটির বিচ্ছিন্নতা কখনো সহ্য করবে না বেইজিং। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও জে দংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান যান। এখনও তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাথমিকভাবে ওই সময় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পড়লেও উভয় দেশই নিজেদের চীনের দাবিদার হিসেবে উত্থাপন শুরু করে। তাইওয়ানভিত্তিক সরকার দাবি করে, চীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দ্বারা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। আর বেইজিংভিত্তিক চীন সরকার তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। বর্তমানে তাইওয়ানকে চীনের স্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
বুধবার তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেন চীনবিরোধী নেতা সাই ইং ওয়েন। আর এরপরই চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র ম্যা জিয়াওগুয়াং বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার পর্যাপ্ত সক্ষমতা চীনের রয়েছে। তিনি বলেন, বেইজিং কখনোই কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম বা চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না।
ম্যা জিয়াওগুয়াং বলেন, শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণের জন্য চীন সবসময়ই বিপুল সুযোগ তৈরি করতে চেয়েছে কিন্তু তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের জন্য কোনও জায়গা ছেড়ে দেওয়া হবে না। হংকং এর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’র অধীনে তাইওয়ানকেও শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।