X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দিল্লির রাজপথে ফের জোড়-বিজোড় পদ্ধতি

বিদেশ ডেস্ক
১৫ এপ্রিল ২০১৬, ১৮:৪৬আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০১৬, ১৮:৫০

ভারতের রাজধানী দিল্লির রাজপথে ফের শুরু হয়েছে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি। ১৫ এপ্রিল ২০১৬ শুক্রবার থেকে দিল্লির রাস্তায় দ্বিতীয় দফায় এ পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণের এই উদ্যোগে এবার রাস্তায় নামানো হয়েছে দুই হাজার ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫৮০ কর্মকর্তা। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে মাঠে নামানো হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবীকে।

দ্বিতীয় দফার জোড়-বিজোড়ে দিল্লিবাসীকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নীতিকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে কেজরিওয়াল টুইটারে লিখেছেন, 'আজ থেকে শুরু হচ্ছে জোড়-বিজোড়। আসুন হাতে হাত রেখে এই প্রক্রিয়াকে সফল করে তুলি।'

এবার ১৫ দিন মেনে চলা হবে এই নীতি। অর্থাৎ, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে, এই ক'দিন দিল্লি মেট্রো ও দিল্লি ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন বাড়তি ট্রেন ও বাস চালানোর কথা ঘোষণা করায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষকে বিশেষ অসুবিধায় পড়তে হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

দিল্লির রাজপথ

দিল্লির পরিবহন মন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, একটি প্ল্যান তৈরি করে শহরকে ১১টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনে রয়েছে ১০টি সেক্টর। প্রত্যেক সেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছে একটি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিম।

জোড়-বিজোড়ের নিয়ম ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে দুই হাজার রুপি। ১৫ দিন দিল্লির রাজপথে নজরদারির জন্য রাখা হয়েছে ১০টি সিসিটিভি। তবে নারী এবং স্কুলের ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীদের গাড়িকে এ নিয়মের বাইরে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কামিজ পরে মন্দিরে প্রবেশ করায় আক্রমণ 

দিল্লিতে প্রায় ৮৫ লাখ যানবাহন রয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার নতুন যানবাহন রাস্তায় নামে। তীব্র যানজট ও বায়ু দূষণ কমাতে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি ১৫ দিনের জন্য এক দিনের ব্যবধানে জোড়-বিজোড় নম্বরের গাড়ি চলাচলের নিয়ম করেছিলো দিল্লির রাজ্য সরকার। এ নিয়ম বাস্তবায়নে বছরের প্রথম দিন দিল্লির রাস্তায় শুধু বিজোড় সংখ্যার গাড়ি চলাচল করে। প্রথম দিনের সাফল্যে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি গর্বিত। জোড়-বিজোড় পরীক্ষায় দিল্লিবাসীর সাড়ায় আমি অভিভূত। এটা এখন এক আন্দোলনের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দিল্লি গোটা দেশকে পথ দেখাবে।’

আরও পড়ুন: বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষার বড় সমস্যা: যুক্তরাষ্ট্র

জোড়-বিজোড় পরীক্ষা হলো যে ব্যক্তিগত গাড়ির নম্বর প্লেটের শেষ সংখ্যা বিজোড়, সেই গাড়ি মাসের এক, তিন, পাঁচ, সাতের মতো বিজোড় তারিখে শুধু রাস্তায় নামতে পারবে। জোড় নম্বর প্লেটের গাড়িগুলি বের হবে দুই, চার, ছয়, আটের মতো জোড় তারিখে। শূন্যকে জোড় সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়েছে। রবিবার এই নিয়ম শিথিল থাকে।

আরও পড়ুন: বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে অচল কাশ্মির, বন্ধ ইন্টারনেট

প্রথম দফায় নিয়ম সফল করতে দিল্লির আম আদমি পার্টির মন্ত্রী-নেতারা নিজেদেরও ছাড় দেননি। মুখ্যমন্ত্রী অন্য দুই মন্ত্রীর সঙ্গে এক গাড়িতে অফিসে পৌঁছান। পর্যটনমন্ত্রী নিজে মোটর বাইক চালিয়ে, পরিবেশমন্ত্রী অটোতে করে অফিসে যান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কার পুল-এর ব্যবস্থা করে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হাফিংটন পোস্ট।

/এমপি/

সম্পর্কিত
চীন সফর: শি’র মন জয়ের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন পুতিন
লোকসভা নির্বাচন: আজ থেকে বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ভ্রমণ ভিসায় বেনাপোল দিয়ে ৩ দিন ভারতে প্রবেশ বন্ধ
সর্বশেষ খবর
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক: ধর্মমন্ত্রী
হেলমেট ছাড়া পেট্রোলপাম্পে গেলে পুলিশে খবর দেওয়ার নির্দেশ
হেলমেট ছাড়া পেট্রোলপাম্পে গেলে পুলিশে খবর দেওয়ার নির্দেশ
শ্রমজীবী মানুষের জন্য আলাদা বাজেটের দাবি
শ্রমজীবী মানুষের জন্য আলাদা বাজেটের দাবি
স্বাস্থ্য সহকারী পদে লিখিত পাস করে মৌখিকে প্রক্সি দিতে এসে ধরা
স্বাস্থ্য সহকারী পদে লিখিত পাস করে মৌখিকে প্রক্সি দিতে এসে ধরা
সর্বাধিক পঠিত
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের