বিশ্বে বসবাসের উপযুক্ত সেরা ১০ শহরের তালিকা প্রকাশিত হলো। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক বৈশ্বিক জরিপ প্রতিবেদনে ২০১৮ সালের বাসযোগ্য সেরা শহর হয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।
স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও পরিকাঠামো বিবেচনা করে তালিকাটি তৈরি হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার সর্বোচ্চ তিনটি করে শহর আছে। এছাড়া জাপানের দুটি আর অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্কের একটি করে শহর রয়েছে।
১০. অ্যাডিলেড: অস্ট্রেলিয়ার এই শহরটি ৯৬ দশমিক ৬ শতাংশ স্কোর করে বিশ্বের বাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে স্থান পেয়েছে।
৯. কোপেনেহেগেন: বাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় ইউরোপের দুটি শহরের ডেনমার্কের রাজধানী ৯৬ দশমিক ৮ স্কোর নিয়ে রয়েছে ৯ নম্বরে।
৮. টরন্টো: কানাডার এই শহরে রয়েছে ৫৫৩ মিটার উঁচু সিএন টাওয়ার। বাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় অন্টারিও প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত টরন্টো আছে ৮ নম্বরে।
৭. টোকিও: ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক বৈশ্বিক জরিপে এবার অতীতের সব র্যাংকিং ছাড়িয়ে গেছে জাপানের রাজধানী। অপরাধের হার কমতে থাকা ও গণপরিবহনের মানোন্নয়নের সুবাদে টোকিও আছে বাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় ৭ নম্বরে।
৬. ভ্যানক্যুভার: কানাডার এই শহরটি রেটিং ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এর সুবাদে বাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় ভ্যানক্যুভার রয়েছে ৬ নম্বরে।
৫. সিডনি: অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় এই শহর সিডনি অপেরা হাউসের মতো কিছু দর্শনীয় স্থাপনার জন্য বিখ্যাত। ৯৭ দশমিক ৪ শতাংশ স্কোর নিয়ে বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে স্থান পেয়েছে সিডনি।
৪. ক্যালিয়ারি: কানাডার আলবার্তা প্রদেশের এই শহর খাবার ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সুবাদে পাঁচ থেকে উঠে এসেছে চার নম্বরে।
৩. ওসাকা: বিশ্বের বাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের বড়সড় লাফ দিয়েছে জাপানের এই শহর। ৬ নম্বর থেকে এটি উঠে এসেছে তিনে। অপরাধের হার কমতে থাকা ও গণপরিবহনের মানোন্নয়নের সুবাদে ওসাকার এই উন্নতি।
২. মেলবোর্ন: ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক বৈশ্বিক জরিপে বাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় টানা সাত বছর শীর্ষে ছিল মেলবোর্ন। অস্ট্রেলিয়ার এই শহর এবার নেমে গেছে দুই নম্বরে।
১. ভিয়েনা: ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক বৈশ্বিক জরিপে ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর নির্বাচিত হয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী। নিরাপত্তার উন্নতি হওয়ার সুবাদে শীর্ষে আছে ভিয়েনা। এর রেটিং ৯৯ দশমিক ১। এবারই প্রথম ইউরোপের কোনও শহর এই তালিকার শীর্ষস্থানে নাম লেখাতে পেরেছে।