কুমিল্লায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকা এখন সরগরম। ঈদের ছুটিতে এসব বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় করেছে কুমিল্লা ও আশপাশের জেলার দর্শনার্থীরা। শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত দুই দিনে আয় হয়েছে দুই লক্ষাধিক টাকা।
কুমিল্লা মহানগর থেকে আট কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। এখানে রয়েছে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি। ময়নামতি জাদুঘরের পাশে আছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশেই বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসব স্থানে আসার জন্য রয়েছে রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা। তাই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় ঈদ ও ছুটির দিনগুলোতে।
কুমিল্লার শিক্ষাবিদ এহতেশাম হায়দার চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো বেড়ানোর মতো দারুণ জায়গা। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে।’
শালবন বিহারে শিশুদের নিয়ে এসেছেন অভিভাবকরা। নগর উদ্যানেও শিশুসহ অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে। বেড়ানোর সময় মোবাইল ফোনে ছবি ও সেলফি তোলায় মেতেছিল তরুণ-তরুণীরা।
নব শালবন বিহার, ইটাখোলা মুড়া, কুমিল্লার সদর দক্ষিণে লালমাই পাহাড়ের শীর্ষ চণ্ডি মন্দির, কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া রাজেশপুর ফরেস্ট বিট, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ওয়ার সিমেট্রি, লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁওয়ে ডাকাতিয়া নদীর তীরে নারী জাগরণের পথিকৃৎ নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়িতেও দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে আড্ডা দিতে ও নৌকায় চড়তে জনসমাগম ছিল লক্ষণীয়। লালমাই পাহাড় ও মহানগরীর বেসরকারি পার্কগুলোতেও ভিড় ছিল। তবে টিকিটের মূল্য চড়া হওয়ায় সবশ্রেণির দর্শনার্থীদের সেখানে যাওয়ার সুযোগ কম।
পরিবার নিয়ে ফেনী থেকে শালবন বিহারে বেড়াতে এসেছেন কামাল হোসেন। তিনি মনে করেন, সড়ক ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা থাকলে দর্শনার্থীদের সুবিধা হবে। তার মন্তব্য, ‘প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ হলে পর্যটনে কুমিল্লা আরও সাফল্য পাবে।’