অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার শিশুদের স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা। একটি শিশু যখন বেড়ে ওঠে, তখন বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন ধাপে স্বাভাবিক নানা দক্ষতা অর্জন করে সে। যেমন ভাষাগত দক্ষতা, বুদ্ধি খাটিয়ে সমস্যার সমাধান করা, সামাজিক দক্ষতা ইত্যাদি। যদি এই স্বাভাবিক বিকাশগুলোতে কোনও অস্বাভাবিকতা চোখে পড়ে, তবে সচেতন হওয়া খুব জরুরি। শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কি না সেটা বোঝার জন্য প্রথম তিন বছর সচেতন থাকতে হবে বলে জানালেন ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সের শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক ফারিহা রহমান। শিশুর কোন কোন লক্ষণ দেখে দ্রুত বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে জানালেন সেটাও।
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর একদম প্রথম লক্ষণ হচ্ছে রেসপন্স। শিশু কারোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে কিনা, সাড়া দিলেও সেটা সঙ্গে সঙ্গে নাকি অনেক দেরিতে- সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
কয়েকটি নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখে অবশ্যই বাবা-কে সচেতন হতে হবে-
- ১২ মাস বয়সের মধ্যে আধো আধো বোল না বলা
- ১৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি শব্দ বলতে না পারা
- ২৪ মাস বয়সের মধ্যে দুই বা ততোধিক শব্দ দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারা
- ভাষার ব্যবহার রপ্ত করতে পারার পর আবার ভুলে যাওয়া
- বয়স উপযোগী সামাজিক আচরণ করতে না পারা
- নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেওয়া
- চোখের দিকে না তাকানো
- বার বার একই আচরণ করা
- অন্যের বলা কথা বার বার বলা
- শব্দ, আলো, স্পর্শ ইত্যাদি বিষয়ে কম বা বেশি প্রতিক্রিয়া দেখানো
- নিজেকে আঘাত করার প্রবণতা
- হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে উঠা
শিশুর আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। স্পিচ থেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, পুষ্টিবিদ, চাইল্ড ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের সাহায্য নিয়ে শিশু ধাপে ধাপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।