X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুই চাকায় পাহাড় ও সমুদ্র জয়!

মোঃ সাজেদুর রহমান
২৫ মে ২০১৭, ২১:০০আপডেট : ২৬ মে ২০১৭, ০০:৩৫

কর্মব্যস্ততার ফাঁকে হুটহাট মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার নেশা সেই পুরনো। এবার দুই চাকায় ভর করে ঘুরে এলাম বান্দরবানের উঁচু পাহাড় ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে মোটর সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা একই সঙ্গে ছিল শিহরণ জাগানো ও ব্যতিক্রমী।

মোটর সাইকেলে সমুদ্র জয়!
অনেক দিন ধরেই ‘ডিম পাহাড়’ এর নাম শুনছিলাম ভ্রমণপিপাসুদের মুখে মুখে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এ পাহাড়ের আকৃতি ডিমের মতোই। গত বছর সাজেক-কংলাক পাড়া গিয়েছিলাম, সেটি ছিল বেশ উঁচু পাহাড়। কংলাক পাড়া থেকেও উঁচু এই ডিম পাহাড় যা  বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচু মোটরযান চলাচলের রাস্তা। খাড়া নাকের মতো উঁচু এবং সাপের মতো আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু পথ। বান্দরবান শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে থানচি থানায় অবস্থিত ডিম পাহাড়। থানচি-আলীকদম রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে ডিম পাহাড়ের।  

যাত্রাপথের স্মৃতি

পরিকল্পনা ছিল থানচি-আলী কদম-ফাসিয়াখালি হয়ে কক্সবাজারের রাস্তা ধরে এগিয়ে যাওয়ার। অবশেষে পরিকল্পনা মাফিক সঙ্গিনীসহ যানজটের নগরী ছেড়ে বের হয়ে পরলাম একদিন। খুব ভোরে রওনা  দিয়ে বিকেলের মধ্যেই পৌঁছে যাই বান্দরবান। মেঘলা ক্যাফেতে হালকা চা-নাস্তা করে চলে গেলাম নীলাচলে সূর্যাস্ত দেখতে। পাহাড়ের উপর থেকে সূর্যাস্ত দেখার অনুভূতিই আলদা। রাতে বান্দারবানে অফিসের রেস্টহাউজে ঠাই মেলে আমাদের।

চলতি পথে একটু বিশ্রাম পরদিন সকালে বগা লেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রুমা বাজার গিয়ে আর্মি ক্যাম্পে যাওয়ার পরই বিপত্তি! আর্মির অনুমতি আর মেলে না। মোটর সাইকেল রেখে তারপরই যেতে হবে। উপায় না পেয়ে থানচি চলে গেলাম দুজন। সেখানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের সীমান্ত রিসোর্টে উঠলাম। খুবই সুন্দর পাহাড়ি পরিবেশে রিসোর্টটি। এখানে সকাল নামে মেঘের ভেলায়। অপূর্ব সুন্দর সকাল উপভোগ করে নাস্তা সেরে ব্যাগ গুছিয়ে রওনা হই আমাদের কাঙ্ক্ষিত ডিম পাহাড় জয়ে। কিছু দূর যেতেই শুরু হয় খাড়া নাকের মত উঁচু রাস্তা।

আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ

হাই রেভ আর লো গিয়ারে উঠতে থাকি উঁচু পাহাড়ে। আঁকাবাঁকা, উঁচুনিচু সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো রাস্তা দেখা যাচ্ছিল দূরে। নীল আকাশের সাদা মেঘগুলো যেন ছোট ছোট হাওয়াই মিঠাই। ডিম পাহাড় দেখা শেষ করে অপরূপ পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আলিকদম-ফাসিয়াখালি দিয়ে দুপুরেই পৌঁছে যাই কক্সবাজার। পাহাড়ি মুগ্ধতা সঙ্গে নিয়ে তখন সমুদ্রের নেশায় ডোবার পালা। সেই নেশাতেই দুদিন চষে বেড়ালাম কক্সবাজার। কক্সবাজারের নেভাল রোড আরেকটি চমৎকার রাস্তা মোটর সাইকেল চালানোর জন্য। এক পাশে সমুদ্র, আরেক পাশে পাহাড়। এই রোড ধরে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। তবে রাস্তায় কাজ চলছে বলে ফিরে আসতে হলো শ্যামলাপুর পর্যন্ত গিয়েই। পরদিন পাহাড়ি বুনো ঘ্রাণ আর লোনা পানির মুগ্ধতা সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলাম ঢাকা।

সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগের ফাঁকে

সাবধানতা

  • মোটর সাইকেল চালানোয় পারদর্শী হলে তবেই এই রাস্তায় যাবেন। কারণ পাহাড়ি রাস্তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
  • দক্ষ চালক হওয়ার পাশাপাশি লম্বা রাস্তা পাড়ি দেওয়ার জন্য মনোবলও থাকা চাই।  
  • অবশ্যই হেলমেট পরে তারপর চালাবেন মোটর সাইকেল।

/এনএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা