X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদ বাজার

একদরের বসুন্ধরা সিটি, ক্রেতা নেই তৈরি পোশাকের

হাসনাত নাঈম
০৮ জুন ২০১৮, ১৬:৫১আপডেট : ০৮ জুন ২০১৮, ১৬:৫৮
image

ঈদ প্রায় আসি আসি করছে। এ সময়ে অন্যান্য বছরগুলোর মতো লোক সমাগম থাকলেও আগের মত বিক্রি নেই দেশের জনপ্রিয় শপিং মল বসুন্ধরা সিটিতে। পোশাক বিক্রেতারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে জানালেন অন্য বছরগুলোর মতো এ বছর বিক্রি তেমন একটা নেই।

একদরের বসুন্ধরা সিটি, ক্রেতা নেই তৈরি পোশাকের
বৃহস্পতিবার পুরো শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, লোক সমাগম থাকলেও মেয়েদের তৈরি পোশাক বিপণীগুলো অনেকটাই ফাঁকা। দোকানের কর্মীরা জানালেন তাদের হতাশার কথা। নতুন নতুন সব পণ্যে দোকান টইটম্বুর থাকলেও আসছেন না ক্রেতারা।
বসুন্ধরা সিটির লেভেল সেভেনের ‘নেক্সট ইন্ডিয়া’ দোকানের মালিক এনামুল হক জানান, ঈদকে উপলক্ষ করে প্রতি বছরের মত এবারও ভারত থেকে মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক আমদানি করেছেন। কিন্তু অন্য বছরগুলোর মতো নেই ক্রেতাদের সাড়া। কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, ইন্ডিয়ান ভিসা সহজে পাওয়া যাওয়াতে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা সরাসরি ইন্ডিয়া থেকেই কেনাকাটা সেরে আসে। যার ফলে অনেকটাই বিক্রি কমেছে আগের তুলনায়।

একদরের বসুন্ধরা সিটি, ক্রেতা নেই তৈরি পোশাকের
অন্যদিকে লেভেল থ্রির ‘অর্নিমা সিটি’র কর্মী বাদল জানান, আমাদের এখানে বেশিরভাগ পণ্যই ভারত থেকে আনা। এর মধ্যে পদ্মাবতী বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও আগের মতোই আছে গাউন, সালোয়ার-কামিজ, লেহেঙ্গাসহ আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পোশাক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখন মার্কেট কর্তৃপক্ষ একদরে বিক্রয় করতে বলেছে। কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ লোকজনই একদরে কিনতে অভ্যস্ত নন। তারা এখনও দামাদামি করেন। যার ফলে আগের মত আর কমানো সম্ভব হয় না। ফলে ভাটা পড়েছে বিক্রিতে। বাদল জানালেন, বড়দের পোশাকের দাম শুরু ৫ হাজার টাকা থেকে। ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের পোশাক রয়েছে। আর ছোটদের পোশাক মিলবে ৩ থেকে সাত হাজার টাকার মধ্যে।

একদরের বসুন্ধরা সিটি, ক্রেতা নেই তৈরি পোশাকের
পুরান ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন ব্যাংকার জামিল রহমান। বড় মেয়ে আর স্ত্রীর জন্য পোশাক কিনবেন। স্ত্রীর জন্য শাড়ি কিনতে পারলেও মেয়ের পছন্দের পোশাক দামের সাথে মিলাতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আগে দামাদামি করা যেত। কিন্তু এখন আর সেটা হয় না। তাই পোশাকের তুলনায় দাম অনেক বেশি মনে হলেও কিছুই করার নেই।’

একদরের বসুন্ধরা সিটি, ক্রেতা নেই তৈরি পোশাকের
অন্যদিকে লেভেল ফোরের ‘শালিমার’ শাড়ির দোকানিরাও অনেকটা ক্রেতাদের পথ চেয়ে আছেন। বেচা-বিক্রি কেমন জানতে চাইলে কর্মচারী শরিফ আহমেদ বলেন, ‘নিজের চোখেই দেখছেন ভাই, কোনও ক্রেতা নাই। এটাকে তো আর ঈদের বাজার বলা যায় না। খুবই খারাপ অবস্থা। আগের মতো আর বিক্রি নাই।’ তার দোকানে ৩ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দামের শাড়ি রয়েছে বলে জানালেন।
একটি-দুটি দোকানে নয়, পুরো ফ্লোর ঘুরেই চোখে পড়লো একই চিত্র। চাকচিক্যে ভরপুর মেয়েদের তৈরি পোশাকের ক্রেতা নেই বললেই বলে। বিক্রেতারা আশায় আছেন, হয়তো আগামী দিনগুলোতে ক্রেতা সমাগম হবে দোকানে।

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা