চলছে হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। আজ মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) চলছে দুর্গাপূজার সপ্তমী। সকাল থেকেই প্রার্থনায় প্রার্থনায় মুখর প্রতিটি পূজামণ্ডপ।
সকালে রাজধানীর জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দির ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর ভক্ত-সমর্থকরা জড় হয়েছেন পূজামণ্ডপে। সকলেই শ্রদ্ধাভরে অপেক্ষা করছেন কাঙ্ক্ষিত সময়ের জন্য। অবশেষে ৯.৫৭ মিনিটে মণ্ডপে পূজা অর্চনার পুরোহিত দুর্গাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন করায়। এরপরই শুরু হয় প্রার্থনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ঘুরেও একই চিত্র দেখা যায়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন মহাসপ্তমীর প্রার্থনায়।
জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দির ছাড়াও নগরীতে আরও বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপের আয়োজন করা হয়েছে। বনানীর রাজউক মাঠে আয়োজন করা হয়েছে বনানী পূজামণ্ডপ, ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে পূজামণ্ডপএর আয়োজন করেছে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট সমাজকল্যাণ সংঘ, বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজন করেছে বসুন্ধরা পূজামণ্ডপ। এছাড়া রামকৃষ্ণ মঠ, কলাবাগান পূজামণ্ডপ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপেও বেশ বড় আয়োজনে চলছে উৎসব। নগরীতে এ বছর ২৩৪টি মণ্ডপে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
মহানগর পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুভশক্তির কাছে সবসময় অশুভ শক্তির যে পরজয় হয় তা মা দূর্গা ত্রেতা যুগে রাবন বধে রামকে সহায়তা করে দেখিয়েছেন। আজকের এই সপ্তমীর দিনে মা দূর্গা বিশ্বের সকল অশুভ শক্তি দূর করে সকলের মাঝে শুভশক্তির সঞ্চার করবেন। এটাই সপ্তমীর মহত্ব।’
এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়ের মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আগেই জানিয়েছেন, এবার পূজায় কোনও ধরনের শঙ্কা কিংবা নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবুও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই উৎসবকে ঘিরে সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।