নিঃসন্দেহে মাছের সবচেয়ে সহজ আর নির্ভেজাল পদ ‘মাছ ভাজা’। তবে বিশেষ পার্বণ যেমন ঈদের দিনের লাঞ্চ বা ডিনার, জন্মদিন-পার্টি, জামাই-আদরের মাছ ভাজা হতে হবে একেবারে অন্যরকম, উৎসবমুখর। বর্ণিল। মাংসের নানা চটকদার ডিশের ভিড়ে মাছের এ পদ ভিন্নতা আনতে বাধ্য।
উপকরণ:
পরিমাণ ও স্বাদ অনুযায়ী লবণ
কালো/সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো ১ চিমটি
লাল মরিচের গুঁড়ো = ১ চিমটি
হদুল গুঁড়ো = ১ চিমটি
যেকনো বড়, মাংসল মাছের তিনটি টুকরো। রুই, কাতলা, টুনা, স্যামন ইত্যাদি
মাছ ভাজার জন্য পরিমান মত সয়াবিন তেল
এক চা চামচ ঘি
অর্ধেক লেবুর রস
একমুঠো ফ্রেশ ধনিয়া পাতা অথবা পার্শলে পাতা কুচিয়ে কাটা
প্রণালীঃ
১। টাটকা মাছের টুকরোগুলো ভাল করে ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে নিন। কিচেন টিস্যু পেপার বা পাতলা কোনো কাপড় দিয়ে আলতো করে বাড়তি পানির চিহ্ন মুছে নিন। নইলে মাছ গরম তেলে দেওয়া মাত্রই তেল-পানির গরম ‘পটপট’ আপনার চোখে-মুখে-শরীরে লেগে পুড়ে যাবার ভয় থেকে যায়।
২। প্রথম তিনটি উপকরন দিয়ে মাছ মেখে রাখুন কিছুক্ষন। মিনিট পনেরো।
৩। কড়াইয়ে তেল গরম করুন মাঝারি তাপে। একটা একটা করে মাছের টুকরো তেলে ছাড়ুন।
৪। চার থেকে পাঁচ মিনিট ভাজুন মাছের প্রথম পিঠ। সোনালী-বাদামী রঙ ধরেছে? মাছ উল্টে দিন। মিনিট তিনেক ভাজুন এ পিঠ।
৫। ভাজা শেষে মাছ সার্ভিং প্লেটে তুলে রাখুন। চুলা নিভিয়ে দিন। একই গরম প্যানে ঘি, লেবুর রস এবং ধনিয়া পাতা/পার্শলে পাতা দিন। চমৎকার এক সতেজ সুগন্ধ পাবেন ঘিয়ে। এই সস বা নির্যাস মাছের উপর আস্তে করে বিছিয়ে দিন।
৬। গরম গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।