আশরাফী জাহানের জন্ম ১৯৭৩ সালের জানুয়ারির শেষভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। শিক্ষা ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করে বর্তমানে অধ্যাপক পদে কর্মরত।
প্রশ্ন : প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি জানতে চাই।
উত্তর : বইটি হাতে পেয়ে প্রথম মাতৃত্ব লাভের আনন্দ পেলাম।
প্রশ্ন : মধ্য বয়সে এসে বই প্রকাশে স্বজনদের প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তর : আমি মন দিয়ে যা করি বা করব বলে ঠিক করি তা বিফলে যায় না সাধারণত; তাই পরিবারের সদস্য ও কাছের স্বজনরা বই প্রকাশটাকে ভালোভাবেই দেখছেন। কে বইয়ের প্রথম ক্রেতা হবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। যদিও পাঠকই আমার কাজের সবচেয়ে নিখুঁত মূল্যায়ন করবে।
প্রশ্ন : কবিতা কোন বয়স থেকে লিখতে শুরু করেছেন? এই বইয়ের কবিতা কোন সময়ে লেখা?
উত্তর : সবার মতো আমিও প্রথম যৌবনে কবিতা লিখতে শুরু করি। ১৯৮৮ সালে আমি যখন সরকারি বি.এল কলেজে পড়ি তখনকার ম্যাগাজিন-দেয়ালিকায় আমার কবিতা ছাপা হতো।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মনের তাগিদে লেখা। ‘কান্নার নূপুরধ্বনি’র কবিতাগুলো সেসময় থেকে এখনকার জীবনের নানা অনুভূতি নিয়েই রচিত।
প্রশ্ন : আপনার কবিতার বিষয় কী?
উত্তর : মানুষ অন্যের ওপর নিজের মতামত চাপিয়ে দিয়ে আনন্দ পায়। আমার লেখায় এই চাপিয়ে দেয়া বা প্রভুত্বের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। এছাড়াও আমার লেখার মধ্য দিয়ে আমাদের সুপ্ত ইচ্ছেগুলোকে বের করে আনতে চেয়েছি।
প্রশ্ন : আপনার প্রিয় কবি কে, বা কে কে?
উত্তর : নির্দিষ্ট কোনো কবিকে অন্ধভাবে প্রিয় বলতে পারছি না। আমার চিন্তাধারার সাথে মিলে যায় এমন সব কবিই আমার প্রিয়। হোক তিনি বিখ্যাত বা অখ্যাত। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, মহাদেব সাহা, হেলাল হাফিজ, শঙ্খ ঘোষ, সাদাত হোসাইন সবার লেখাই আমি পড়ি। বলা যায় আমি সর্বভূক পাঠক।