X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়েলিংটন টু পিকটন : যে পথে সবুজ পাহাড় এসে মিশে গেছে সাগরের নীলে

ফজল হাসান
২১ জুন ২০১৭, ১৩:৩৯আপডেট : ২১ জুন ২০১৭, ১৪:০২

ওয়েলিংটন টু পিকটন : যে পথে সবুজ পাহাড় এসে মিশে গেছে সাগরের নীলে

ভৌগলিক দিক থেকে নিউজিল্যান্ড দুটি আলাদা দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যা উত্তর দ্বীপ এবং দক্ষিণ দ্বীপ নামে পরিচিত। রাজধানী ওয়েলিংটন শহরের অবস্থান উত্তর দ্বীপের নিচের দিকে এবং সৌন্দর্যের লীলাভূমি পিকটনের অবস্থান দক্ষিণ দ্বীপের উপরের দিকে। ফলে এই দুই শহরের মধ্যে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হলো জলযান এবং সমুদ্র পথে যেতে হয় পুরো বিরানব্বই কিলোমিটার, অর্থাৎ পঞ্চাশ নটিক্যাল মাইল। ওয়েলিংটন থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথমে পাড়ি দিতে হয় প্রোতাশ্রয় এলাকা, তারপর প্রশান্ত মহাসাগর, তথা তাসমান সাগরের অংশ ‘কুক প্রণালী’ এবং অবশেষে মার্লব্যোরো সাউন্ডস। কয়েক বছর আগে আমার স্ত্রী মেহেরুন এবং আমি এই সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে ওয়েলিংটন থেকে পিকটন এবং পরবর্তীতে বিলাসবহুল বাসে করে নেলসন হয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ‘অ্যাবেল তাসমান ন্যাচার রিজার্ভ’ দেখতে  গিয়েছিলাম।

ওয়েলিংটনে আমাদের হোটেল থেকে ফেরী টার্মিনাল খুব বেশি দূরে ছিল না। ট্যাক্সিতে পনের মিনিটের পথ। যদিও ফেরী ছাড়ার সময় আটটা পঁচিশ, কিন্তু টার্মিনালে আমাদের রিপোর্ট করার কথা ছিল সাতটা চল্লিশে। তাই সতর্কতার জন্য ভোর সাতটায় এসে আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগের রাতে ট্যাক্সির ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। সকালবেলা আমরা তড়িঘড়ি করে হোটেলের রেঁস্তোরায় নাশতা সেরে বাইরে এসে দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্যাক্সি চলে আসে। তখনও ঘড়িতে সাতটা বাজতে দুই মিনিট বাকি।

একদিকে আমার মনের ভেতর নতুন জায়গা দেখার রোমাঞ্চকর অদ্ভুত অনুভূতি দোল খাচ্ছিল এবং অন্যদিকে ফেরী করে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার এক অজানা ভয় ঘাপটি মেরে লুকিয়েছিল। আমার ভয় পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল আঠারো শতকের বিখ্যাত ইংরেজ লেখক স্যামুয়েল জনসন (১৭০৯-১৭৮৪) এর একটা কথা। কথাটা বাংলায় তরজমা করলে এরকম দাঁড়ায়- ‘জাহাজে থাকার মানে কারাগারে বন্দি থাকা এবং ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা।’

যাহোক, টার্মিনালে বিশাল ফেরী দেখে আমি রীতিমত খাবি খাই। ইন্টারআইল্যান্ডার কোম্পানীর সবচেয়ে বড় ফেরী, নাম ‘কাইটাকি’। আদিবাসী মাওরিদের ভাষায় ‘কাইটাকি’ শব্দের অর্থ হলো ‘চ্যালেঞ্জার’, অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বী। ঢাউস আকৃতির এই ফেরীতে মোট পনেরটি তালা রয়েছে। এই ফেরীর যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ষোল শ’ জন। এসব যাত্রীদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে একাধিক ক্যাফে এবং কচিকাঁচাদের জন্য রয়েছে খেলার আলাদা জায়গা। এছাড়া ‘কাইটাকি’র উদরের বিভিন্ন তালায় আনুমানিক সত্তর আশিটির মতো গাড়ি অনায়াসে ঢুকিয়ে রাখা যায়। যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণ করার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে বসার মতো বিভিন্ন তালায় প্রচুর আসন রয়েছে। তাই যাত্রীরা নিজেদের সুবিধা বা পছন্দ মতো আসন বেছে নেয়। তবে অনেকে আসন গ্রহণ না করে সোজা ডেকে চলে যায়। একসময় আমরাও সিঁড়ি ভেঙে উপরের ডেকে ওঠে রেলিঙের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। মেহেরুন নিশ্চুপ, মুখে কোনো রা নেই। আমার অবস্থা তথৈবচ। জানি না, মেহেরুনের ভেতর জগতে কি হচ্ছে। একসময় সে উদাস ভঙ্গিতে কন্ঠস্বরে আবেগের খানিকটা আদ্রতা মিশিয়ে বললো, ছেলেবেলায় আব্বার চাকরী সুবাদে ওরা অনেকবার ঢাকা থেকে খুলনা স্টিমারে যাতায়াত করেছে এবং সেই সব দিনের স্মৃতি ওর কোমল মনকে আপ্লুত করে তুলেছে। আমি আলতো করে ওর হাতের ওপর হাত রাখি।

সেদিন ছিল নির্মেঘ নীলাকাশ, হালকা মৃদু-মন্দ বাতাস। হয়তো আমার মতো ভীতুর জন্য সাগরে তেমন বিশাল ঢেউ ছিল না, ছিল না কোন গভীর গর্জন। স্বচ্ছ নীল পানির ওপর সকালের নরোম রোদ এসে ঠিকে পড়েছে। সূর্যের আলোয় ছোট ছোট ঢেউগুলো রুপালি মুদ্রার মতো চিকচিক করছে। দূরের সারি বাঁধা ঢেউ খেলানো পাহাড়ের দিকে তাকালে মনে হয় ওগুলো ছায়া-আবছায়ায় নিথর দাঁড়িয়ে আছে এবং চূড়াগুলো যেন মেঘের সাদা টুপি পড়ে আছে। একসময় উল্টোদিক থেকে আসা আরেকটা ফেরী কিছুটা দূর দিয়ে আমাদের অতিক্রম করে চলে যায়। ডেকের ওপর দাঁড়িয়ে অল্প বয়সী কয়েকটা ছেলেমেয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানায়। উল্টোদিকের ফেরীর পেছনে প্রায় কিলোমিটারের মতো জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সাদা ফেনায়িত ঢেউ ক্রমশ পেছন দিক থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রনীলে। ঘন সবুজ পাহাড়ের মাঝে অথই পানির ওপর ভাসমান সাদা রঙের ফেরী দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন বিশাল পদ্ম ফুটে আছে। একসময় আমি স্পষ্ট বুঝতে পারি, মুগ্ধতা এসে আমার চোখের পাতায় আলতো পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। আবেশে আমার চোখের পাতা নুইয়ে আসে। একসময় আমি হারিয়ে যাই– জানি না কোথায়, হয়তো নীল পানির অতলে, হয়তো ঘন সবুজ পাহাড়ের গহীনে। মাঝে মাঝে ভেজা বাতাসের ঝাপটা এসে সারা মুখে পরশ বুলিয়ে দিচ্ছিল। তবে মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা সুপ্ত ভয়টাকে কিছুতেই ভেজাতে পারেনি।

ওয়েলিংটন টু পিকটন : যে পথে সবুজ পাহাড় এসে মিশে গেছে সাগরের নীলে আমাদের ফেরী ঘর্ঘর একটানা আওয়াজ তুলে নীল পানি কেটে অথৈ তাসমান সাগরের কুক প্রণালীর দিকে এগোতে থাকে। যত দূর চোখ যায়, শুধু ধূ ধূ পানি এবং মাঝ সমুদ্র থেকে বিরামহীন গর্জন ভেসে আসে। আমরা ডেকে দাঁড়িয়ে নিসর্গের বিশাল পেয়ালা থেকে একটু একটু করে সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি। একসময় দিগন্তহীন কুক প্রণালীর জলতরঙ্গে একটানা আওয়াজ তুলে আপন গতিতে আমাদের ফেরী চলতে থাকে। চলুক। চারদিকে অথই পানি। এই ফাঁকে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর সামুদ্রিক দুর্ঘটনা, যা এই সমুদ্র পথে ওয়েলিংটন পোতাশ্রয়ের কাছে ঘটেছিল, সম্পর্কে উৎসুক পাঠকদের জন্য বাড়তি হিসেবে খানিকটা উল্লেখ করছি।

ক্যালেন্ডারের পাতায় সেদিন ছিল ১০ এপ্রিল, ১৯৬৮ সাল। দিনটা অন্য সাধারণ দিনের মতো ছিল না। আগের রাতে ‘ওয়াহিনি’ নামের তৎকালীন সময়ের অত্যাধুনিক জাহাজ নিউজিল্যান্ডের ফুলেল শহর (গার্ডেন সিটি) হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ দ্বীপের ক্রাইস্টচার্চ শহরের সন্নিকটে লিটলটন বন্দর থেকে ওয়েলিংটনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। জাহাজে ছিল ৬১০ জন যাত্রী। এছাড়া নাবিক, খালাসী ও কর্মচারী ছিল ১২৩ জন। যদিও তাসমান সাগরের কুক প্রণালীর মাতলামী এবং উত্তাল ঢেউ সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল ছিল, কিন্তু এতোটা যে বিভীষিকাময় এবং ভয়ংকর হবে, সেটা বোধহয় কেউ অনুধাবন করতে পারেনি। যাহোক, গ্রীষ্মমন্ডলীয় উষ্ণ বাতাস এবং এন্টার্টিকা থেকে আসা শৈত্যপ্রবাহ এসে দুটি মিলে ‘গিসেল’ নামক এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করে। দূর্ভাগ্যবশতঃ সেই প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ওয়াহিনি। সেই দুর্যোগপূর্ণ বৈরী পরিস্থিতির মাঝে জাহাজের ক্যাপ্টেন গন্তব্যে (অর্থাৎ ওয়েলিংটন বন্দরে) যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ‘ব্যারেট রীফ’ এর কাছে পৌঁছানোর পর হঠাৎ ওয়াহিনির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় এবং একসময় প্রচণ্ড বাতাসের তোড়ে জাহাজ একদিকে হেলে পড়ে। ওয়েলিংটন বন্দরে দুর্ঘটনার খবর পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী জাহাজ এসে যাত্রী এবং জাহাজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্ধার করে। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে ৫৩ জনকে উদ্ধার করতে পারেনি। তাদের সলিল সমাধি হয়। পরবর্তীতে ‘টাইটানিক’-এর দুর্ঘটনার মতো এই দুর্ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়।

 যাহোক, ওয়াহিনির দুর্ঘটনা সম্পর্কে একাধিক ‘মীথ’ প্রচলিত আছে। যদিও দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ঘূর্ণিঝড় এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে, তবে বিচারকেরা জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়ার দূর্বলতাকে চিহ্নিত করে। পরবর্তীতে ক্যাপ্টেনকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ক্যাপ্টেনের মৃত্যুর পরে তার মরদেহের সঙ্গে দুর্ঘটনার সমস্ত গোপন তথ্য এবং আলামতও কবর দেওয়া হয়। জনশ্রুতি আছে যে, হয়তো সত্যি না, আসলে ওয়াহিনি ছিল অপয়া জাহাজ এবং দূর্বলভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যা সামুদ্রিক দুর্ঘটনায় পড়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল।

ওয়েলিংটন টু পিকটন : যে পথে সবুজ পাহাড় এসে মিশে গেছে সাগরের নীলে কথায় আছে, সময় এবং স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না। তাই আমাদের জন্যও সময় থমকে থাকেনি। ইতিমধ্যে দু’ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। টেরই পাইনি। কি একটা আবেশে বিমুগ্ধ ছিলাম। ঘোর কেটে গেলে পুনরায় দু’পাশে দৃষ্টি বুলিয়ে আনি। আমাদের ফেরী কুক প্রণালী পেরিয়ে পিকটনের পথে মার্লব্যোরো সাউন্ডসের মোহনায় ঢুকে গেছে। প্রাচীনকালে ঘন সবুজ পাহাড় ঘেরা এই মার্লব্যোরো সাউন্ডস্ এলাকায় অসংখ্য উপত্যকা ছিল। কালের বিবর্তনে সেই উপত্যকাগুলো ক্রমশ প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে ডুবে যায়। কথিত আছে, বৃটিশ নাবিক ক্যাপ্টেন জেমস কুক, যিনি অষ্ট্রেলিয়া আবিস্কার করেছেন, ১৭৭০ সালে সমুদ্র যাত্রাকালীন সময়ে খাদ্যের খোঁজে সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে এই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। যাহোক, মার্লব্যোরো সাউন্ডসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমুদ্রনীল পানির মাঝে মাথা উঁচু দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য পাহাড়ের চূড়া। পাহাড় ঘেরা আঁকাবাঁকা এই জলভূমিতে মনে হয় যেন সামনে কোন পথ খোলা নেই। সামনের দিকে কিছুক্ষণ গেলে বাঁকের শেষ মাথায় পথের দেখা মেলে। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে পলকহীন তাকিয়ে থাকি। দূরে পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করি এবং আপনমনে বলি, ‘আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় অই’। সে এক অপরূপ দৃশ্য! বলা হয়, ওয়েলিংটন থেকে পিকটনের সমুদ্রযাত্রা তামাম দুনিয়ার অন্যতম ফেরী ভ্রমণ।

অবশেষে একসময় আমাদের যাত্রা শেষ হয়। ফেরী থেকে নেমে আমার মনে হয়েছে, এই সমুদ্র যাত্রাপথের দুপাশের পাহাড় এক মায়াময় জগৎ, নিঃসন্দেহে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার বিস্ময় এবং গোপন রহস্য, যা হয়তো আমার কাছে অজানাই থাকবে। সত্যি, ওয়েলিংটন থেকে পিকটনে যাওয়ার পথের দুপাশের সবুজ পাহাড় নেমে এসে যেন মিশে গেছে সাগরের নীলে। চোখ জুড়ানো আর মন ভোলানো সেই অদ্ভুত ভালোলাগার মধুর স্মৃতি এখনও মনের আকাশে জোছনা প্লাবিত ভরা চাঁদের মতো উজ্জ্বল হয়ে ঝুলে আছে।


আরো পড়ুন-

কবিতা

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
সিলেটে আবারও শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম
সিলেটে আবারও শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম
ভ্রমণ শেষে ভারত থেকে তিন দিনে ফিরলেন ১৫ হাজার পর্যটক
ভ্রমণ শেষে ভারত থেকে তিন দিনে ফিরলেন ১৫ হাজার পর্যটক
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন