X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ডাচ থেকে বাংলায়

মার্ক বোঘের কবিতা

অনুবাদ : তানবীরা তালুকদার
১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৮আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৭

মার্ক বোঘ মার্ক বোঘ-এর জন্ম ১৯৭০ সালে। খুব অল্প কিছুদিন তিনি ‘বুদ্ধিমত্তা ও চারুকলা’ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তারপর তার ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে কিছুদিন কাজ করেছেন। ২০০১ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কোথাও যেনো কিছু ঘটেছে’ (Alsof er iets gebeurt )-র জন্য সি.বুডিং পুরস্কার পান। তিনি নিজের কর্মহীনতার প্রবণতা নিয়ে বেশ অহংকার করেন, যদিও তার বই খুব জনপ্রিয়। পাঁচটি উপন্যাস আর পাঁচটি কবিতার বইয়ের মধ্যে থেকে তার কবিতার বই The Encyclopaedia of Big Words (2005)-এর জন্য ২০০৬ সালে সম্মানজনক ভি.এস.বি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি খুব দ্রুত লেখেন এবং প্রকাশ করেন, বই বিক্রিও হয় বেশি। তার লেখাকে প্রাত্যহিক জীবনের ছবি আর হতাশা নামে অভিহিত করা হয়। সমালোচকরা তার লেখাকে অসম্ভব বৈচিত্র্যপূর্ণ লেখক আরিয়ান ডাইনকার আর খেরার্ড রিভের সাথে তুলনা করেন।

প্রতিদিনের করণীয়

আমি যে ভাস্কর্য হয়ে উঠেছি

তাকে প্রতিদিন সাজিয়ে রাখি:

জীবনকে আড়াল করে

পান করি আকণ্ঠ।

 

কফি থেকে শুরু করে

আগের দিনের যত পরিকল্পনা

ভেঙে চূর্ণ করি সবই

আবার অবিশ্বাসকে রাখি ঝুলিয়ে

 

আমি নিজেকে তোমার বিশৃঙ্খলায় সঁপে দিই

তোমার দুই চোখ

আমাকে এখনো ভাবে অপরিচিত

 

এখনো বেঁচে আছে সময়ের পূর্ণতা নিয়ে

তোমার আয়নায় আবারো আসবে হাজার সম্ভাবনা নিয়ে

আমি ঠিক জানি না

কিসে তুমি বিশ্বাস করো

 

তোমার প্রতিদিনের শিল্প দেখে যাই

আর কী অজুহাতে

তুমিও হয়েছো পাকা কারিগর

 

সেদিনের সন্ধ্যা থেকে মৃত আমরা

ভান করে পড়ে থাকি জীর্ণ বিছানায়

খুব চুপচাপ শুয়ে থাকার প্রতারণা করে চলি

কাব্যগ্রন্থ : প্রেমের সেই দিনগুলো

 

কুড়েমি

ঈশ্বরের মতো কুঠার চালিয়ে কুড়েমি-নাটক চলে

যেনো সময় সানন্দে ফুরায়—গান শুনে।

 

ধীরে তালে যা করেছি অস্বীকার—

প্রায় নিঃশব্দে ওই সুরের সৃষ্টি।

 

আমরা কী করতে পারি:

বারবার গোঙানি

কেউ ফিরেও তাকায় না

রুখে দিতে পারি সব বিহ্বল প্রতিবাদে— 

সবকিছু পেছনে থাকে পড়ে

 

কুড়েমি তার অস্পষ্ট গান গায়, আর

অসহ্য নীরবতা হাওয়ায় মিলায়

 

না, গানও লাগছে না ভালো!

সৌন্দর্য-পিপাসা আরো বেশি

দখলে নিয়েছে অনিচ্ছুক সত্তা—

পড়ে যাচ্ছি সময়ের মতো

কাব্যগ্রন্থ : কোথাও যেনো কিছু ঘটেছে

 

প্রণয়

আকাশ শুয়ে আছে মাটিতে

ওই দূরে, অদৃশ্য আর দৃঢ়

 

তুমি সেজেছো তোমার চুলেরই রঙে

তোমার চোখ, পোশাক আর কণ্ঠও তাই

দেবী তুমি

নিজেকে বিলিয়ে মরি

শিহরনে।

 

হয়ত তুমি অনন্যা

ক্ষমাহীন অধরা তুমি

যদি আমি পাখি হতাম

 

আমাকে চূর্ণ করে দেয়

তোমার স্পষ্টতা

বিশ্বাসের মতো

আমি তোমাকে দেখি আর

কেঁপে কেঁপে উঠি

 

তুমি বলো, আমি আছি নিশ্চুপ

গ্রহণ করো আমার কঠোরতা

গ্রহণ করো আমার স্থবিরতা

গ্রহণ করো আমার ভালোবাসা।

কাব্যগ্রন্থ : মহৎ শব্দের বিশ্বকোষ থেকে।

//জেডএস//
সম্পর্কিত
প্রিয় দশ
দোআঁশে স্বভাব জানি
প্রিয় দশ
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!