চন্দ্রযান
স্মৃতিভূক স্নায়ুসুখ
চাঁদের গন্ধ লেগে থাকা রথ
ধ্রুপদ সুগন্ধি আর দাহভরা রাত
রক্তে তুফান তোলা পাখি...
ঠোঁট রাখো ঘ্রাণে
নাভিমূল থেকে অরণ্য তুলে নাও
ভেজাও শরীর আর লাল লবঙ্গের চাঁদ
স্নায়ুসুখে পাড়ি দাও দাউ-দাউ উঠান
নিঃশ্বাসপতনে ইচ্ছামৃত্যু হোক
যুগল পরাণ
কোমল কঙ্কাল
এখানেই, পাখির ছায়ার নিচে
ঘ্রাণ ছিল
চিনিচূড় চম্পা
রজবের চাঁদ আর রাজা শাইল স্বাদ
তুষের লাস্যে উড়েছিল সেতু
তপস্যার তীর,
ঝিনুক জঠরে
এক বিন্দু হলেও শুক্তি শুদ্ধাচার আর
শংকর প্রজাতির চিত্রা হরিণীর ছাল।
কিন্তু
দুধের ঐ নহর ছাড়া
বাদ বাকি সবই ছিল মেদ।
মূল
একটু জিরাও,
দেও ওই ঊষামুখি হাত...
তোমার আঙুলে দেখি,
সুমন্দ্র আঘাতের ছাপ।
ব্যাধিনী বলিয়া ডাকো
তাতে নাই যতি...
মাটিরও মাজেজা আছে
চিহ্ন দেখে বুঝি!
উপলক্ষ
মেরুদণ্ডের উজ্জ্বল অমাতে কোনো পাখিরে চক্ষু দিয়ো না। আহার দিয়ো না
কোনো মজ্জার মাটি। দাও শুধু পানসে বিলায়তি। নতুবা তাদের অনুযোগ
ফিলিগ্রির সুচালো বর্শায় সাজাবে তোমাকে। দাঁতে-দাঁতে নিম আর নিসিন্দা
ছড়াবে। তুমি আর জবার বাগান পেরোতে পারবে না।
অনুপান
তবু জানি
কোথাও না কোথাও...
কোনো এক
প্রচণ্ড লাল দ্বিপ্রহরে
অলৌকিক জলযান অভ্যন্তরে
জ্বলে উঠবে হীরা
ভিন্ন রুচি ঘাম ও কামের কৌশলে
ভানুমতি কলা হবে
ঋতুর আস্বাদ আর পরিতাপ নিতে
যেভাবেই হোক
সরীসৃপ সংযোগ কিংবা সহিংস সম্ভোগে
কোথাও তো এই সব হতে হয়
কেটে দিতে হয় জলবায়ু
স্ফটিক অশ্রু
চুল-ধোয়া ঘিরে ধরা মুখ
টেনে নিয়ে দুধের অক্ষর মুছে
ধূলিসাৎ হয়ে যেতে হয়
যেভাবে জল ছিঁড়ে ফুটে ওঠে
সোনার শালুক।
কবির বই থেকে সংগৃহীত