বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম কথাসাহিত্যিক জেন অস্টিনের ২০০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ(ইউল্যাব)। এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ১৪টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বিভিন্ন বিশবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জেন অস্টিনকে নিয়ে লেখা প্রবন্ধ উপস্থাপন করে। দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ইউল্যাবের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমান, ইউল্যাবের ইংরেজি বিভাগের ডিন অধ্যাপক কায়সার হক এবং ইউল্যাবের ইংরেজি বিভাগের প্রধান সামসাদ মর্তুজা। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী অস্টিনের উপন্যাসে উঠে আসা তৎকালীন সমাজে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের উপর বিশেষ আলোকপাত করেন। তিনি জেন অস্টিনের সাহিত্য সৃষ্টির সময়কাল এবং তার কাছাকাছি বা পরবর্তী সময়কালীন অন্যান্য নারী সাহিত্যিকদের সঙ্গে তার পার্থক্য নিয়েও আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইমরান রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি তার বক্তব্যে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। ইউল্যাবের কলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক কায়সার হক তার বক্তব্যে জেন অস্টিনের প্রভাব ও জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটেও অস্টিনের চিন্তার প্রাসঙ্গিকতা আছে। বিয়ে এবং সম্পর্কের ঘাত প্রতিঘাতের যে বৃত্তান্ত তার লেখায় উপস্থিত তা বিরল। তিনি জেন অস্টিনকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পাঠ করার তাগাদা দেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ইউল্যাব। বিচারকদের রায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় স্থান লাভ করে ইউল্যাব। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সুবর্ণা মুস্তাফা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটারওপারফরমেন্স অনুষদেরচেয়ারম্যানঅধ্যাপক সুদীপ চক্রর্বতী।
সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশের পরিচালক বারবারা উইকহ্যাম। তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন।
/এফএএন/