X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গিদের বাসা ভাড়া নেওয়ার মূল হোতা করিম কোথায়?

নুরুজ্জামান লাবু
০১ আগস্ট ২০১৬, ১৩:১২আপডেট : ০১ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৪৭

গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরে জঙ্গি তৎপরতা

গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা, কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানাসহ জঙ্গিদের বাসা ভাড়া নেওয়ার মূল হোতা হলো করিম নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেও জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত, জড়িত তার স্ত্রীও। দুই সন্তানসহ এই করিম পরিবারের পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন। সামান্য কিছু আসবাবপত্র নিয়ে বাসায় ওঠেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে ওই বাসায় অবস্থান নেয় জঙ্গিরা। গুলশানের হামলার দু’দিন পর এই করিম পরিবারসহ বসুন্ধরার বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে ধরতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান,পরিবারটি একসঙ্গে একাধিক বাসা ভাড়া নিয়ে রেখেছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এসব বাসার কয়েকটিতে অভিযানও চালানো হয়েছে। তবে তাদের পাওয়া যায়নি।

সিটির কর্মকর্তারা জানান,করিম পরিবারের বাসা ভাড়া নেওয়া ও অর্থের যোগান দেওয়া হলো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। তার সংসার খরচের টাকাও দেওয়া হয় সংগঠন থেকে। তার কাজই কেবল দম্পতি পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করে দেওয়া।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করিমের মাধ্যমেই তার স্ত্রী জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ৮-১০ বছর বয়সী তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে। এদের সাধারণ স্কুলে পাঠানো হয় না। ধর্মীয় লাইনে বাবা-নিজেই তাদের শিক্ষা দিচ্ছেন।

সূত্র জানায়,করিম পরিবারের মাধ্যমে রাজধানীতে আরও বেশ কয়েকটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। ইতোমধ্যে শনাক্ত হওয়া অন্তত তিনটি বাসায় গোয়েন্দারা অভিযানও চালিয়েছেন। কিন্তু অভিযানে গিয়ে কাউকেই বাসায় পাননি। বাড়িওয়ালারা জানিয়েছে, তাদেরকে না জানিয়েই ভাড়াটিয়ারা কোথাও চলে গিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এসব বাসায় ভারি কোনও আসবাপত্র নেই। কোনও রকমে ঘুমানোর জন্য কিছু তোষক ও বিছানাপত্র ও রান্নার জন্য হাড়িপাতিল পাওয়া গেছে। তেমন কোনও ডকুমেন্টসও পাওয়া যায়নি এসব আস্তানায়।

কাউন্টার টেরোরিজম কর্মকর্তাদের ধারণা, করিমের পরিবারের সদস্যরা রাজধানীর ভেতরেই কোথাও আত্মগোপন করে আছে। তাদের বাসায় জঙ্গিদের কেউ কেউ অবস্থান করে থাকতেও পারে। এছাড়া, জঙ্গিদের অন্য সদস্যরাও একসঙ্গে একাধিক বাসা ভাড়া নিয়ে রেখেছে। একটি বাসায় কয়েকদিন অবস্থানের পর তারা জায়গা পরিবর্তন করে ফেলে। বাড়িওয়ালার কাছে আসল পরিচয় গোপন করে রাখে। সিটির একজন কর্মকর্তা জানান, করিমসহ জঙ্গিরা বেশি দিন পালিয়ে থাকার সুযোগ পাবে না। কারণ দুই বাড়িওয়ালা গ্রেফতার হওয়ার পর বাড়িওয়ালাদের মধ্যে একটি সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তাদের হয়তো দ্রুতই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়তে হবে।

 আরও পড়ুন: গুলশান হামলার ১মাস: মূল হোতারা কোথায়?


গুলশান হামলা: একমাস ধরে জঙ্গিদের লাশ মর্গে

 /এনএল /এমএসএম/আপ-এসটি

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’
বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী‘বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ালে বর্জনের কথা বিশ্বাস করবো’