X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে আমি অসহায়: আনিসুল হক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৪৯আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:৫২

আনিসুল হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ভবনগুলো নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের ১২টি ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বুয়েট এগুলো ভেঙ্গে ফেলার সুপারিশ করেছে। কিন্তু বাস্তবতার কারণে এগুলো ভাঙা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমি অসহায়।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে গুলশানের নগরভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক একথা বলেন। এ সময় সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যক্তিমালিকানাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ১৪১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন সাতটি মার্কেটে ভবন রয়েছে ১২টি। গুলশান-১ এর কাঁচা মার্কেট ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। ইতোমধ্যে এটা ধসে পড়েছে। গুলশান-২ কাঁচা মার্কেট ও পাকা মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা কাঁচা মার্কেট ও সুপার মার্কেট, কারওয়ানবাজার আড়ত ভবন, ১ নম্বর ভবন, ২ নম্বর ভবন ও কিচেন মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট কাঁচা বাজার ও পাকা বাজার, গাবতলী প্রান্তিক সুপার মার্কেট এবং আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনাল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুয়েট এসব ভবন ২০০৯ সালে ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছিলো। বিষয়টি মার্কেটগুলোর সমিতি ও দোকান মালিকদের জানানো হয়। সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়। কিন্তু মালিক সমিতি সেগুলো খুলে ফেলে আদালতে মামলা করায় ভাঙা সম্ভব হয়নি।
ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ভবন ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করে ঢাকা উত্তরের মেয়র
বলেন, আমরা ভবনগুলো ভাঙতে চাই। কিন্তু ভাঙলেই তো হবে না, দোকানদারদের স্বার্থও দেখতে হবে। কারণ একটি মার্কেট ভেঙে আরেকটি করতে ৫/৭ বছর লেগে যায়। ততদিন দোকান মালিকরা কোথায় যাবেন? তাদের রুটি-রুজির কি হবে?
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু আমরা কোনও দ্রুত সমাধান খুঁজে পাচ্ছি না। সরকার এক হাজার কোটি টাকা দিলেও সমাধান হবে না। আমি শুধু দোকান মালিকদের বলতে পারি, আমাদের ওপর ছেড়ে দিন, আমরা সেখানে নতুন ভবন তৈরি করি। ডিএনসিসির মার্কেটগুলোতে অনেক অবৈধ দোকান রয়েছে। এগুলো আমরা ভেঙে ফেলব। এ ব্যাপারে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলন ব্যবসায়ী নেতারা জানান, সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেট ভবন নির্মাণ করে দোকান হস্তান্তর করতে ১০ বছর লেগে যায়। মিরপুরের শাহআলী মার্কেট ২৮ বছর পর হস্তান্তর হয়েছে। বাউনিয়া বাঁধে একটি মার্কেটের দোকান ১১ বছর আগে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখনও সেখানে মার্কেট হয়নি। ১০০ বছরের জন্য দোকান বরাদ্দ নেওয়া হলেও ৩০/৪০ বছরেই মার্কেটগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
/ওএফ/এএআর/আপ-এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ