নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির কবর জিয়ারত করেছে তাদের একমাত্র ছেলে মেঘ। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে দুই মামাকে সঙ্গে নিয়ে সে কবর জিয়ারত করতে যায়। কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের খুনিদের বিচার চেয়ে মেঘ বলে, ‘চোরগুলোর যেন শাস্তি হয়’।
কবর জিয়ারত শেষে রুনির ভাই নওশের রুমান মামলার অগ্রগতির সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনও অগ্রগতির কথাই আমাদের জানানো হচ্ছে না। ‘বছরের পর বছর ধরে অগ্রগতি হচ্ছে’ বলা ছাড়া আর কিছুই জানায়নি র্যাব। অলৌকিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, এছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না।’
তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এখানে দুটি জিনিস হতে পারে। এমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ জড়িত যার জন্য মামলাটি ধামাচাপা পড়ে রয়েছে। অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অদক্ষতার কারণে মামলার তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত বড় একটি ঘটনার কোনও সুরাহা না হওয়ায় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। সরকার বা দেশের মানুষের জন্য এটা লজ্জাজনক।’
পাঁচ বছর আগে ২০১২ সালের এইদিনে ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টেলিভিশনে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। তাদের ৬ বছরের সন্তান মেঘ ঘটনার সময় সেই বাসাতেই ছিল। বাবা-মা হারানোর পর থেকে সে নানির বাড়িতে থাকছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: যে তদন্তের কোনও সীমারেখা নেই
/আরজে/এআর/এফএস/