X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানব পাচার প্রতিরোধ: ১ বছরেও হয়নি ৩ বিধিমালা

এস এম আববাস
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৭আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০২:৩৭

মানব পাচার প্রতিরোধ: ১ বছরেও হয়নি ৩ বিধিমালা মানব পাচার প্রতিরোধে তৈরি করা তিনটি খসড়া বিধিমালা গত এক বছরেও চূড়ান্ত হয়নি। বিধিমালা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচার দমনে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আটকে আছে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও সুরক্ষার সরকারি উদ্যোগ। সেই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না জাতীয় কর্মপরিকল্পনা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, গত বছরের শুরুতেই আইন পুরোপুরি বাস্তবায়নের প্রয়োজনে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিধিমালা, জাতীয় মানব পাচার দমন সংস্থা বিধিমালা এবং মানব পাচার প্রতিরোধ তহবিল বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় এক বছরেও এগুলো চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়নি। এসব বিধিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে মানব পাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়। বিধিমালা তিনটি চূড়ান্ত হলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। কিন্তু তা না হওয়ায় খুব একটা এগোতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। গত বছরের মে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-২) শফিকুর রহমান জানান, শিগগিরই বিধিমালা চূড়ান্ত হবে। কিন্তু এখনও তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পৌঁছায়নি।  

গত বছরের গোড়ার দিকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ‘মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন এবং জাতীয় মানব পাচার দমন সংস্থা বিধিমালা’ দুটির ভেটিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-৩ থেকে বলা হয়, কিছুদিনের মধ্যে তহবিল বিধিমালারও ভেটিং সম্পন্ন হবে। ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছিলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। দ্রুত এ বিষয়ে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রাজনৈতিক-৩) মনোয়ারা ইশরাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিনটি বিধিমালাই চূড়ান্ত হয়েছে।’ তবে কবে নাগাদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তা পাঠানো হতে পারে, তা জানাতে পারেননি তিনি।

২০১৫ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ ও মে মাসের শুরুতে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের সংখলা প্রদেশের এক সমাধিস্থলে বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশের মানুষের কবর উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে মানব পাচার প্রতিরোধে নতুন করে পরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির একাধিক বৈঠকে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ আইনের ৪৬ ধারার ক্ষমতাবলে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিধিমালা’র খসড়া প্রস্তুত করা হয়। বিধিমালায় মামলা, পাচারের শিকার ব্যক্তিদের উদ্ধার, পুনর্বাসন, প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবর্তন, সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিধিমালা না থাকায় এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

/এসএমএ/জেএইচ/  

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ