শুল্ক ফাঁকি, অবৈধভাবে মদ রাখা ও মানি লন্ডারিং বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বনানীর রেইনট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষকে। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের উপপরিচালক শরিফুল হাসানের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রেইনট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আদনান হারুন, তার চাচা মুজিবুল হক কামাল, ফুফা আকবর হোসেন মঞ্জু, ফুফাতো ভাই হাসিব করিম ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে হাজিরা দিতে গেলে মঙ্গলবার (২৩ মে) তাদের এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক সাফিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, মানি লন্ডারিং বিষয়ে রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ পার পেয়ে যেতে পারে। তবে বাকি দুটি বিষয়ে পার পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
রাজধানীর কাকরাইলে ইডিইবি ভবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে রেইনট্রির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সম্প্রতি রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার পর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ১০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর রেইনট্রি হোটেলের এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়। ১৭ মে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজির হননি। ওই দিন আইনজীবীর মাধ্যমে আদনান এক মাস সময়ের আবেদন করেন। পরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ তাদের সাতদিনের সময় মঞ্জুর করেন।
তবে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২২ মে) শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ওই নোটিশের কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়। পরে এই আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।
/জেইউ/এফএস/
আরও পড়ুন-