শনিবার (২৭ মে) নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আবারও আশ্বস্ত করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘রমজানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঝড়ে কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার ফলে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তা ক্রমান্বয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়, পিডিবি, পাওয়ার সেল ও বিভিন্ন বিতরণ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে দেশের সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ এবং রমজানে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা হবে। এতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে।’ রাজধানীসহ দেশের সব জায়গায় মার্কেটগুলোকে রমজান মাসে অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা না করার আহ্বানও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
এসময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রমজানে সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দেন। এসব নির্দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় পানির পাম্প, ইস্ত্রি, কলকারখানা প্রভৃতি ভারি যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘ঝড়ে একটি সঞ্চালন টাওয়ার ভেঙে পড়ায় দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে তাতে বিশেষ কোনও সমস্যা তৈরি হবে না। বিকল্প ব্যবস্থায় সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ ৩৬০ মেগাওয়াট এবং মেঘনাঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র দু’টিতে বৃহস্পতিবার উৎপাদন শুরু হয়েছে। ওই সময়ই সান্ধ্যকালীন সর্বোচ্চ চাহিদার সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় নয় হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। শুক্রবারের মধ্যে ওই কেন্দ্র দু’টি পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদনে যেতে পারবে। এছাড়া, সামিটের বিবিয়ানা ৩৪১ মেগাওয়াট কেন্দ্রটিতেও উৎপাদন শুরু হবে শুক্রবার থেকে।
/এসআই/টিআর/