X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চাকরি প্রার্থীদের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৩৯আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৫৬

চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ পুলিশের হাতে আটক দু’জনকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়াসহ ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চাকরি প্রার্থীরা। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

সরকারি আট ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আন্দোলনরত অবস্থায় দৈনিক বাংলা মোড় থেকে দু’জন চাকরি প্রার্থীকে পুলিশ আটক করে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল ১০টায় সমাবেশে যোগ দেন সহস্রাধিক চাকরি প্রার্থী। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে যায় তারা। সেখান থেকে ফিরে আসার পথে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে পুলিশ দু’জনকে আটক করে বলে দাবি করেন তারা। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন তারা।

সমাবেশে পরীক্ষার্থীরা বলেন, এমন প্রহসনের পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। অনেক কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরীক্ষা দিয়েছে। কোনও কেন্দ্রে সিট প্ল্যান ছিল না। দেখাদেখি করে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছে। সবখানেই ছিল আসন অব্যবস্থাপনা। মিরপুরের হযরত শাহ আলী কলেজে সবাইকে পর্যাপ্ত জায়গা দিতে পারেনি। সেখানে ৫ হাজার ৬০০ জন পরীক্ষাই দিতে পারেনি। দনিয়া কলেজে পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পর প্রশ্ন এসেছে। পরীক্ষা শুরু হয়েছে আরও পরে। এসবের প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে। আমরা এ পরীক্ষা বাতিল চাই।

তাদের দাবি, ১২ তারিখের পরীক্ষা বাতিল করে দ্রুত স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা নিতে হবে। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সংস্কার ও কমিটির সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন খানের পদত্যাগ,  প্রতিটি কেন্দ্রে সিট প্ল্যান নিশ্চিত, বিতর্কিত কেন্দ্রগুলোকে বাদ দেওয়া, কেন্দ্রগুলোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন এবং পরীক্ষা ঢাকা কেন্দ্রিক নয়, বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র দিতে হবে।

কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে সমন্বয়ক জলি রানী কর বলেন, ‘আটক দু’জনকে ছাড়তে এবং পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিতে আমরা ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।’

প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী মহিলা কলেজে ৫ হাজার ৬০০ পরীক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত বসার জায়গা ছিল না। শত শত পরীক্ষার্থীকে জায়গা দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজটির জানালা দরজা ভাঙচুর করে। বাধ্য হয়ে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে ২০ জানুয়ারি শুধু ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেন। আর দনিয়া এ কে স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পর প্রশ্নপত্র এসে পৌঁছায়।

 

/আরএআর/এসও/এসআইআর/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ