রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সরকার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। রবিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা বিষয়ে ব্রিফ করার পর তিনি একথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চুক্তির খসড়া নিয়ে আমরা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছি। চুক্তি সই হলে তারা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারে এখন আন্তর্জাতিক রেডক্রস কাজ করছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে যুক্ত করতে মিয়ানমার সরকারও নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।’
যাচাই-বাছাই ফরমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত হয়েছে। একটি পরিবারকে একটি ইউনিট হিসেবে গণ্য করা হবে।’
২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য একটি অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তিতে সই করেন। এরপর ১৯ ডিসেম্বর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয় এবং ১৬ জানুয়ারি ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি সই হয়। এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘এ তিন বিষয়ে আমি তাদের ব্রিফ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেসব রোহিঙ্গার ঘরবাড়ি তৈরি করে দেবে ভারত, চীন ও জাপান। এ প্রস্তাবেও রাজি হয়েছে মিয়ানমার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করেছি। আমরা চাই, মিয়ানমারের প্রতিবেশী পাঁচটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রাখাইন রাজ্য সফর করুন।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কবে থেকে শুরু হবে, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি চলমান রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। আর গত বছরের অক্টোবর থেকে জুলাই পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা। এর আগে থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।