শপথ নিতে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেছেন নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এসময় তার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার কিছু পরে তিনি সপরিবারে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। এছাড়া শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, বিমান ও নৌ-বাহিনীর প্রধান ও বেশ কয়েকজন বিচারপতি বঙ্গভবনে প্রবেশ করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নেবেন নতুন প্রধান বিচারপতি। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজই (শুক্রবার) রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপরই আইন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিএসসি ডিগ্রি পাওয়ার পর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এলএলবি সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে ও ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দু’বার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
আপিল বিভাগের পাঁচ জন বিচারপতির মধ্যে মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ। জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার পরেই ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আর এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছেন বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।