এ প্রজন্মের কাছে একুশের চেতনা এগিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যাদের, তাদের বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে বারবার এবং বারবারই আশ্বস্ত করে শিশু-কিশোররাই। একুশের সকালে অনেক শিশুকে যেমন শহীদ মিনারে দেখা গেছে, তেমনই বাসা ও মহল্লাতেও সারাদিন নানাবিধ আয়োজনে একুশকে স্মরণ করেছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অভিভাবকদের দেওয়া ছবিগুলো মনে করিয়ে দেয়, একুশ বাঙালির রক্তে প্রবাহমান।
ধরুন চোখ খুলে দেখলেন, ঘরের ভেতরে শ্বেতশুভ্র ককসিট দিয়ে বানানো শহীদ মিনার। সুন্দর লাল সূর্য উঠেছে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সব আয়োজন সম্পন্ন। আবেদা সুলতানা তার ওয়ালে ঘরোয়া পরিবেশে শ্রদ্ধা জানানোর ছবি দেন। দুই ছেলের বানানো শহীদ মিনারের দুই পাশে দুই সন্তান।
রিফাত ফাতেমা তার ফেসবুকে ছেলের আঁকা শহীদ মিনার দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, শহীদ মিনারে যায়নি মন্ময়, ঘরে বসে ভাষা শহীদদের জন্য তার শ্রদ্ধা।
সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা তার মেয়ের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ছবি দিয়ে লিখেছেন— প্রথমবারের মতো মহান ভাষা দিবসে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে ডে কেয়ারে।
পাঁচ বছরের অভ্র। কেবল স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। তার আঁকায় উঠে আসে একুশ, শহীদ মিনার আর লাল সূর্যের ইতিহাস। মায়ের কাছে গল্প শুনে নিজের খেয়ালে সে একুশকে আঁকে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন সকাল থেকেই একুশের নানা খণ্ডচিত্র তুলে ধরেছেন তার ওয়ালে। এরমধ্যে আছে—বাড্ডার দিকে শিশুরা নিজেদের উদ্যোগে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার আয়োজন করেছে, তার ছবি। আর আছে, বাসার দেয়ালে সন্তানের আঁকা শহীদ মিনার। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাসার দেয়ালজুড়ে কন্যার প্রকাশ আয়োজন।’
সাংবাদিক খায়রুল বাবুইয়ের ওয়ালে শোভা পাচ্ছে, তার সন্তানের ছবি। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে তার মেয়ে ভাষা ৭৮ নম্বর পাতানিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজেদের গড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
কেবল ঢাকায় না, দেশজুড়ে আজ শিশু-কিশোরদের এই আগ্রহটা জিইয়ে রাখলেই বাংলা বাঁচবে।