হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উৎপাতের কারণে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ছাড়তে নির্দিষ্ট সময় থেকে দুই ঘণ্টা দেরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ওই উড়োজাহাজ রানওয়ের দিকে এগোলেও ফিরে আসতে হয়। কারণ মশার উৎপাতে বসে থাকতে পারছিলেন না যাত্রী। প্রায় দুই ঘণ্টা কেবিন ক্রুরা মশা নিধন শেষ করলে ফের ফ্লাইটটি রওনা দেয়। বিমানবন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার পথে ফ্লাইটটি রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মশার কারণে দুই ঘণ্টা উড়তে পারেনি সেটি। পরে রাত ২টা ৪৬ মিনিটের দিকে ওই উড়োজাহাজ রওনা দিতে পেরেছে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে আলফা-২ বে এরিয়া থেকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের (এমএইচ ১৯৭) ফ্লাইটটি যাত্রীদের নিয়ে উড্ডয়নের জন্য রানওয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজে প্রায় ১৫০ জন যাত্রী ওঠার সময় মশাও ঢুকে পড়ে। মশার উৎপাতে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে অভিযোগ করেন কেবিন ক্রুদের কাছে। বাধ্য হয়ে রানওয়ের পরিবর্তে পুনরায় বে এরিয়ার উড়োজাহাজটি ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হন বৈমানিক।
এরপর মশা নিধন চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। রাত পৌনে ৩টার দিকে পুনরায় ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। এ ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন এয়ারলাইন্সটির কর্মীরা। অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলোকেও মশার কারণে বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে বলে জানা যায়।
এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার আজিজুল আব্দুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘মশার কারণে আমাদের ফ্লাইটটি যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। বে এরিয়া থেকে যাত্রী ওঠানোর সময় উড়োজাহাজে মশা ঢুকে পড়ে। যাত্রীরা মশার উৎপাতে বিরক্ত হয়ে যান। বাধ্য হয়ে মশা নিধন করে পুনরায় ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।’
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘তখন রাতে বিমানবন্দরে যারা দায়িত্বরত ছিলেন তাদের কাছে ফ্লাইট বিলম্বের তথ্য জানিয়েছি। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন না। আমরা বিষয়টি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছেও জানাবো।’