বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর বহরে যুক্ত হওয়া সব বিমান ও হেলিকপ্টারের রেজিস্ট্রেশন দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, নিয়মিত মেরামতের বিষয়টি পরিদর্শনও সংস্থাটির দায়িত্ব। এছাড়াও দেশের বিমানবন্দরগুলোতে আসা দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের পাইলট ও এয়ারক্রাফটের দেখভালও করার কথা বেবিচকের। দেশি পাইলটদের বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার লাইসেন্সও দেয় তারা। তবে এত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই সংস্থাটির ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের।
বর্তমানে দেশি চারটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তাদের রয়েছে ৩৩টি বিমান। ৮টি হেলিকপ্টার অপারেটরের রয়েছে ২৩টি হেলিকপ্টার। এছাড়া, ৪টি কার্গো এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইং একাডেমিগুলোরও রয়েছে বেশ কিছু ছোট বিমান। এসব এয়ারলাইন্সের তিন শতাধিক পাইলট রয়েছেন।
বেবিচক সূত্র জানায়, এসব এয়ারলাইন্স বিমান কেনার সময় থেকে এগুলো ফেজ আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত বেবিচকের নজরদারিতে থাকে। বিমান কেনার সময় বেবিচকের ছাড়পত্র নিতে হয়। কেনার পর রেজিস্ট্রেশন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত হয় কিনা তা তদারকি করে বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগ। এছাড়া, আকাশে ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ বিভাগের রয়েছেন ফ্লাইট ইনস্ট্রাক্টর। তারা পাইলটদের সঙ্গে ফ্লাইট নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করেন।
সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পরিচালিত বেবিচকে কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রয়েছে তিন হাজার ৭১৬টি। এরমধ্যে ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মী আছেন ১২ জন; তারা যাবতীয় ইনস্পেকশন করেন। আরও জনবলের প্রয়োজন থাকলেও বর্তমান অর্গানোগ্রামে আর নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন অর্গানোগ্রামে এ বিভাগে পর্যাপ্ত পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যেটি সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। লোকবল সংকট কাটাতে চুক্তিভিত্তিক কনসালটেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে বেবিচক। বর্তমানে ৪৫ জনের মতো চুক্তিভিত্তিক কনসালটেন্ট রয়েছেন ফ্লাইট সেফটি বিভাগে।
এ প্রসঙ্গে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স) উইং কমান্ডার চৌধুরী এম জিয়াউল কবির
বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হলে ফ্লাইট সেফটি বিভাগে আরও জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। তখন প্রথম ধাপেই ১২৭ জন বিভিন্ন পদে নিয়োগ সম্ভব হবে। তখন ফ্লাইট সেফটির বিষয়টি আরও বেশি জোরদার হবে।’
আরও পড়ুন:
মাদকদ্রব্য শনাক্তকরণ যন্ত্র নেই বিমানবন্দরগুলোতে
অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে দুর্বল মেডিক্যাল সেবা