রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি মানের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ঢাকায় আজ বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৬ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এই কম্পন।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামে। তাৎক্ষণিকভাবে এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আফটারশকের আশঙ্কা থেকে অধিদফতর থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর দিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুড়িগ্রামে বুধবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। সেখানে প্রায় ১০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এই কম্পন। এ সময় আতঙ্কে লোকজনকে ঘরের বাইরে আসতে দেখা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জেও মৃদৃ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ সময় বাসাবাড়ি ও পৌর মার্কেট থেকে লোকজন ভয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ায়। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মৌলভীবাজারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাড়িঘর। বুধবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. হারুনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলায় মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। এ সময় শহরের বহুতল ভবনসহ বাড়িঘর, অফিস আদালত থেকে মানুষ প্রাণভয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বহুতল ভবনের চতুর্থতলায় মেট লাইফ আলিকো ইন্স্যুরেন্স কার্যালয়ে আসা শাহ আলম বলেন, ‘আমার স্বজনের কাজে আলিকো ইন্স্যুরেন্সের এসেছিলাম। হঠাৎ ভবন কেঁপে ওঠে। তড়িঘড়ি সবাই ভবনের নিচে নেমে যায়। আমি নিজেও তাদের সঙ্গে নিচে নেমে আসি।’
একই ভবনের পঞ্চম তলায় কর্মরত সময় টেলিভিশনের চিত্রসাংবাদিক জুয়েলুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারে বসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ চেয়ার দুলে ওঠে। পাশের অফিসের লোকজনকে দেখছি দৌড়ঝাঁপ করে নিচে নেমে যাচ্ছে। আমিও তাদের সঙ্গে নেমে যাই।’
তবে ভূমিকম্পে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
হিলি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ভূকম্পনের কারণে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মানুষজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তা কেউবা ফাঁকা জায়গায় বেরিয়ে আসেন। এ সময় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসের লোকজনও বাইরে চলে আসেন।
আরও পড়ুন-