নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সকাল ১১টায় এই পদযাত্রা শুরু করেন নন শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সদম্যরা। কিন্তু প্রেসক্লাব থেকে কদম ফোয়ারা মোড় পর্যন্ত আসতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন সংগঠনের প্রায় ৭০০০ শিক্ষক-কর্মচারী। বাধার মুখে তারা রাস্তায় অবস্থান শুরু করেন।
পদযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইলে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা আবেদন করে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে আশ্বস্ত করেছেন আমাদের। এরপরও দেড় বছর অতিক্রম হয়েছে। উচ্চ মহলে বিভিন্ন সময় আমরা যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা একটা কথাই বলেছেন, আমাদের কিছু করার নেই। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে একটা পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছিলাম এক মাস আগে, যেটি গতকালকে হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কারণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধে গতকাল আমরা সেটি স্থগিত কারি এবং আজকের এই কর্মসূচি দেই। যেহেতু আমরা শিক্ষক তাই সকালে শান্তিপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করি। তখন পুলিশ আমাদের এখানে (কদম ফোয়ারা মোড়) আটকে দেয়। আমরা সহিংস কোনও কিছু করবো না। তাই আমাদের যেখানে আটকে দেওয়া হয়েছে, সেখানেই বসে পড়েছি। যত সময় পর্যন্ত আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন না হবে, তত সময় পর্যন্ত আমরা এ রাস্তায় অবস্থান করবো।’
পদযাত্রায় কেন বাধা দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পেট্রল (টহল) ইন্সপেক্টর বাশার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা, এটা কোনও অবস্থাতেই সম্ভব না। তাই আমরা এখানে বাধা দিয়েছি। তাদের বলা হয়েছিল আপনারা যদি কোনও স্মারকলিপি দেন তাহলে আমরা সেই বিষয়টি অ্যারেঞ্জ করতে পারি। কিন্তু তাদের বক্তব্য একটাই, তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের প্রতিশ্রুতি চান। তাদের বক্তব্য, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে না দেখা করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা প্রেসক্লাবে অবস্থান করবেন। তাদের অবস্থানে বর্তমান আমরা কোনও বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু তাদের আমরা অবজার্ভ করছি।’
শিক্ষকদের অবস্থানের ফলে পল্টন থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এবিষয়ে বাশার বলেন, ‘যান চলাচলের জন্য আমরা বিকল্প একটি লিংক রোড ওপেন করে দিয়েছি। তাদের অনুরোধ করছি তারা যেন অন্তত একটি লেন ছেড়ে দেন।’