ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্প্রসারিত ওয়ার্ড উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরেই ডিএনসিসির সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।’ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ডিএনসিসির সম্প্রসারিত ওয়ার্ড সাতারকুল ও উত্তর বাড্ডা এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নের জন্য চার হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প শিগগিরই একনেকে অনুমোদন হবে। এর আগেই প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ডিএনসিসির ফান্ড থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
পথসভায় স্থানীয়দের উদ্দেশে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রশস্ত রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত, কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী এসব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জায়গা অধিগ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’
মেয়র বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
এদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র এই দু’টি ওয়ার্ডের বেরাইদ, সাতারকুল, দাদার বাজার, আলী নূর, উত্তর বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় যোগ দেন। পাশাপাশি ৩৮ ও ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এ সময় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জনগণকে উন্নয়ন পরিকল্পনায় আরও বেশি অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, শেখ সেলিম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এম মনজুর হোসেন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।