X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদকে অবৈধ বলায় রুলিং চাইলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ জুন ২০১৯, ১৩:৪৮আপডেট : ২৭ জুন ২০১৯, ১৯:৫৪

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিএনপির সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদকে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করায় সংসদে রুলিং চাইলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতা, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কেউ বলতে পারেন না এই পার্লামেন্ট অবৈধ। যেকোনও সংসদ সদস্য এই সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদকে অবৈধ বলতে পারে না। মাননীয় স্পিকার, আমি এ বিষয়ে আপনার কাছে রুলিং চাই। তারা কেন এই সংসদকে অবৈধ বললেন, তার রুলিং দিতে হবে। এ বিষয়ে রুলিং দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’

বিএনপির সংসদ সদস্যদের ‘সংসদকে অবৈধ’ আখ্যায়িত করার প্রসঙ্গ টেনে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ‍ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দুই জন সংসদ সদস্য এই সংসদে দাঁড়িয়ে এই পার্লামেন্টকে অবৈধ বলেছেন। বলেছেন আমরা (আনিসুলরা) কেউ নির্বাচিত হইনি। উনারা যদি এই পার্লামেন্টকে অবৈধ মনে করেন তাহলে আসলেন কেন?’

প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জাতীয় আয়ের ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। প্রশ্ন হচ্ছে এটা আমরা অর্জন করতে পারবো কিনা। আমাদের সেই সক্ষমতা আছে কিনা। কয়েক দিন আগে যে সংশোধিত বাজেট (২০১৮-১৯) পাস করা হয়েছে, সেখানে ২ লাখ ৮০ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ মে’র হিসাব অনুযায়ী, ৮৮ হাজার কোটি টাকায় আদায় বাকি রয়েছে। মাত্র এক মাসের মধ্যে এই বাকি টাকা আদায় করা সম্ভব হবে না। এটাই বড় উদাহরণ যে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো না। কারণ, সক্ষমতা আমরা অর্জন করতে পারিনি। সক্ষমতার অভাব অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন।’

কর আদায়ে মূল্যবোধের জায়গাটা আগে ঠিক করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের টেনডেন্সি হচ্ছে যারা কর দিচ্ছে, তাদের থেকে আরও বেশি কর আদায় করা। কতগুলো সেক্টর রয়েছে, যার ওপর বারবার কর বাড়ানো হয়। অথচ এটিকে বিস্তৃত করা হয় না। বাজেটে বলা হয়— ট্যাক্সনেট বাড়ানোর কথা। কিন্তু বাস্তবে সেটা দেখা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে ভ্যাট আইন ২০১২ বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়নের জন্য লোকবল কোথায়? লোকবল তো বাড়াতে হবে। ট্যাক্স আদায় বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। এই ট্যাক্স কারা সংগ্রহ করবে? বর্তমান যে বাস্তবতা, তা যদি সংস্কার করে লোকবল না বাড়ানো হয়, তাহলে এটা বাস্তবায়িত হবে না।’
সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

/ইএইচএস/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
শনিবার জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভানির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ