X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা পেতে ৫০০ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়: টিআইবি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:৪৮আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:১৯

টিআইবির সংবাদ সম্মেলন ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা পেতে ৫০০ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসগুলোতে সেবা পেতে প্রতিটি পদক্ষেপে সেবাগ্রহীতাদের ৫০০ থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। 

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ভূমির দলিল ও নিবন্ধন সেবাখাতে ব্যাপক সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। এ খাতে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। সেবাখাত মানেই সুশাসনের ঘাটতি ও দুর্নীতিপ্রবণ। দলিল নিবন্ধন আর দুর্নীতি যেন অনেকটা সমার্থক হয়ে গেছে। এই খাতে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেনের চিত্র বিরাজ করছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত আছে যে, একজন সাব-রেজিস্ট্রারকে বদলি করতে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়েছে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘কোনও কোনও ভূমি দলিল নিবন্ধন অফিস ব্যতিক্রমও পেয়েছি। অনেক কর্মকর্তা জবাবদিহিতার সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সে সংখ্যা তুলনায় খুবই কম।’

ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবাখাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে দুটি জিনিসকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। দুর্নীতির অংশীজনদের নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করা, দুর্নীতিপরায়ণদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে সেবাগ্রহীতারা হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন, সরকারের রাজস্ব আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

দ্বিতীয়ত প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি ও আধুনিকায়নকে গুরুত্ব দেওয়া। যদিও সরকার এই কার্যক্রম গ্রহণ করলেও অগ্রগতি নেই। এক্ষেত্রে ই-নিবন্ধনসহ পুরো প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। এটা সম্ভব হলে এই খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম কমে আসবে।

গবেষণা পরিচালনা ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করে প্রোগ্রাম ডেপুটি ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) শাম্মী লায়লা ইসলাম ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) নিহার রঞ্জন রায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সুলতানা কামাল, উপদেষ্টা (নির্বাহী) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। 

/আরজে/এসটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ