X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

রায়ে খুশি এসি রবিউলের পরিবার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:০৭আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ২০:২১

রবিউলের ছবি হাতে তার মা করিমুন নেছা হলি আর্টিজান হামলা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের নিহত সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। নিহত রবিউলের মা করিমুন নেছা, স্ত্রী উম্মে সালমা ও ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এসি রবিউলের মা করিমুন নেছা বাংলা ট্রিবিউনের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘একটি দৃষ্টান্তমূলক ও যুগান্তকারী রায় ঘোষিত হয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো দেশের মাটিতে জঙ্গিবাদের প্রশ্রয় হবে না।’ কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, ‘আর কোনোদিন আমি আর আমার সন্তানকে ফিরে পাবো না। তবে এধরনের রায় শোনার জন্য দীর্ঘ তিনটি বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে যে রায় হলো এতে আমি সন্তুষ্ট। আমি চাই দ্রুত এই রায় কার্যকর হোক। এই সন্তানই ছিল আমার একমাত্র ছায়া। তাকে  হত্যা করার পর আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। এরপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কারণ আমাদের বিপদের সময় তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’  এসি রবিউলের স্ত্রী উম্মে সালমা

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নিজের কর্মস্থল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যালয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সাভার প্রতিনিধিকে উম্মে সালমা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। সেই রায়ই আমরা পেয়েছি। এখন এই রায়টা উচ্চ আদালতে বহাল রেখে দ্রুত যেন কার্যকর হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কন্যা সন্তান চেয়েছিলেন। তবে রবিউল জানতেন আমাদের ছেলে হবে। হামলায় মারা যাওয়ার পর আমাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। তবে দুর্ভাগ্য বাবা হিসেবে তিনি সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেননি।’ এসি রবিউল ইসলাম

হলি আর্টিজানে জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে তাদের হামলার নিহত হন পুলিশের এসি রবিউল। এ ঘটনার পর তার স্ত্রীকে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

এদিকে এসি রবিউল  ইসলামের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস বলেছেন, রায়ে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবার মতো আমাদেরও প্রত্যাশা ছিল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হওয়া। সেই জায়গাটিতে সবার মতো আমাদেরও প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। সাতজনের ফাঁসি হয়েছে। একজন খালাস পেয়েছে। যে একজন খালাস হয়েছে হয়তো তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সেভাবে প্রমাণ হয়নি। তারপরও এখানে আমারা বলবো বিচার পেয়েছি।"

প্রসঙ্গত, গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার কার্য শেষে বুধবার আদালত রায় প্রদান করে। রায়ে আট আসামিদের মধ্যে সাতজনের ফাঁসি হয়েছে। একজন খালাস পেয়েছেন। 

আরও পড়ুন- 

দৃষ্টান্তমূলক রায় চায় এসি রবিউলের পরিবার

সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড, একজন খালাস

/এআরআর/এনএল/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা জুলাই আহতদের
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা জুলাই আহতদের
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জুলাইযোদ্ধা দুর্জয়
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জুলাইযোদ্ধা দুর্জয়
বিমান চলাচলের জন্য আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে পাকিস্তান
বিমান চলাচলের জন্য আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে পাকিস্তান
রাজশাহীতে এক মাসে ৩৫ আত্মহত্যা, নেপথ্যে যা
রাজশাহীতে এক মাসে ৩৫ আত্মহত্যা, নেপথ্যে যা
সর্বাধিক পঠিত
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ‘ভাই হিসেবে মেরেছি’
লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ‘ভাই হিসেবে মেরেছি’
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ