বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ) মোবাইলফোনের সিম নিবন্ধন আগামী ৩০ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। এরপরে আর সময় বাড়ানো হবে না। তবে ওই সময়ের পরে যেসব সিম অনিবন্ধিত থাকবে সেগুলো ১ মে থেকে পর্যায়ক্রমে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রেখে গ্রাহকদের সতর্ক করা হবে। এরপরও যদি গ্রাহক সিম নিবন্ধন না করেন তাহলে অনিবন্ধিত সিম চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সোমবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অনিবন্ধিত সিমের ক্ষেত্রে ১ মে এক ঘণ্টা, ২ মে ৩ ঘণ্টা, ৩ মে আরও বেশি সময়- এভাবে পর্যায়ক্রমে সিম বন্ধ রাখা হবে। গ্রাহকরা তারপরও যদি সিম নিবন্ধন না করেন তাহলে সেসব সিম একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সোমবার পর্যন্ত ৬ কোটি ৩৫ লাখ সিমের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এ অগ্রগতি সন্তোষজনক। আশা করি, বাকি দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: বিমা খাতে অবৈধ ক্যাশ লেনদেন জনপ্রিয়
তারানা হালিম বলেন, এর মধ্যে কিছু সিম (যেগুলো বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে ব্যবহার যেমন অবৈধ ভিওআইপি, হুমকি-ধমকি,সন্ত্রাসী কার্যক্রমে) এমনিই বন্ধ হয়ে যাবে, ওগুলোর নিবন্ধন কেউ করবে না। সেই হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সিম নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য মোবাইলফোন অপারেটরগুলো সারাদেশে ১ লাখ ডিভাইস ব্যবহার করছে। প্রতিটি ডিভাইসে যদি প্রতিদিন অন্তত ৫০ জন করে সিম নিবন্ধন করেন তাহলেও অবশিষ্ট ১২ দিনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সিমের নিবন্ধন শেষ হবে।
অারও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীরাই শক্তিশালী, ঢামেকের চারপাশে তারা ঘিরে থাকে
এই মুহূর্তে তারানা হালিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম ও রিম নিবন্ধন, মোবাইল নেটওয়ার্কের উন্নয়ন এবং ইন্টারনেটের দাম কমানো–এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। জানালেন, সামনে আসছে মোবাইলফোন নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি)। এগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে যুদ্ধের একটা অংশ শেষ হবে।
/এমএসএম/