বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীকে রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে, কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন প্রার্থনা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো.জাকির হোসেন টিপু আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
আদালতের শুনানির সময় মামলার বাদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানির পরে মামলার বাদী তরিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউন বলেন, ‘জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ ফেসবুকে এ ধরনের লেখার সাহস না করে।’
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইরাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ইরাদ সিদ্দিকী ফেসবুকে লেখেন ‘শেখ হাসিনাকে গুপ্তহত্যা সম্ভব নয়। কারণ, শেখ হাসিনার চারদিকে ভারতের বিশেষ নিরাপত্তার চাদর রয়েছে। ভারতীয়রা সরাসরি শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিধান করছে। কারণ, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করছেন। শেখ হাসিনাকে গুপ্তহত্যা ছাড়া বাংলাদেশে ভারসাম্য ও গণতন্ত্র ফেরানো সম্ভব নয়।’
একই দিনে তিনি ফেসবুকে একটি ঘোড়ার ছবি আপলোড করেন এবং বঙ্গবন্ধুর পিতাকে জড়িয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন। এছাড়া গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে আরেকটি মানহানিকর স্ট্যাটাস দেন।
এসব অভিযোগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম এ মামলা করেন। একই অভিযোগে ঢাকা সিএমএম আদালতে দুটি এবং গাজীপুর ও বগুড়ায় একটি করে মামলা হয়।
/এসআইটি/ এপিএইচ/