X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যালেরিয়া ঝুঁকিতে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি

জাকিয়া আহমেদ
২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০৬:০৫আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০৬:০৫

সাম্প্রতিক সময়ে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও পাহাড়ি অঞ্চলের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। পাহাড়ি অঞ্চল বিশেষ করে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এখনও সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মপরিকল্পনায় ২০২০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ১৩টি জেলার ১৭টি উপজেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব রয়েছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার জনগোষ্ঠী ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ১ হাজার ৮৬০ জন মানুষ ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফয়েজ বলেন, ‘তিন পার্বত্য এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি এবং জুন জুলাইতে রোগীর সংখ্যাও বেশি থাকে। তাই এ সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব সংক্রামক রোগের কারণে বিশ্বে বেশি মৃত্যু হয় তার মধ্যে ম্যালেরিয়ার স্থান পঞ্চম। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ম্যালেরিয়ার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক দশমিক পাঁচ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশের। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ১৩ জেলার ৭১টি উপজেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি। যেখানে প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করে।

জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার জনগোষ্ঠী ম্যালেরিয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। তবে, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যুর হার অনেক কম। ২০১৪ সালে যেখানে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার ছিল ৪৫ জন, সেখানে ২০১৫ সালে তা কমে ৯ জনে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে কমে এসেছে ম্যালেরিয়ার আক্রান্তের হারও।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তহমিনা বলেন, ‘জনমানুষকে সম্পৃক্ত করা ব্যতীত ম্যালেরিয়া চিরতরে অবসান করা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে সব ধরণের সন্দেহজনক জ্বর ও সব ম্যালেরিয়া রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিতে রোগীদের উৎসাহিত করতে হবে। মশারি টানানো, ম্যালেরিয়ার মশা জন্মাতে পারে এসব জায়গায় কীটনাশক ছিটানোসহ অন্যান্য উপায়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি একেবারে না কমলেও ‘জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ ২০৩০ সাল নাগাদ ম্যালেরিয়া চিরতরে অবসান করার রূপরেখা প্রণয়ন করেছে, আশা করি ম্যালেরিয়া থাকবে না।”

/এমও/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে আদালতের নির্দেশ
ইমরান খান ও বুশরা বিবিরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে আদালতের নির্দেশ
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
বিতর্কিত আউটের ছবি পোস্ট করে মুশফিক লিখলেন...
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী