X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্ছেদ হচ্ছে হাতিরঝিলের স্থায়ী দোকান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:১১আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:২২





হাতিরঝিলে খাবারের দোকান রাজধানীর হাতিরঝিলে নকশাবহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা স্থায়ী খাবারের দোকান ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বাংলা ট্রিবিউনসহ একাধিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর হাতিরঝিল প্রকল্পের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।


ঝিলের স্বাভাকিক সৌন্দর্য নষ্ট হওয়াসহ নানা সমস্যার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দর্শনার্থীদের চাহিদার কথা চিন্তা করে সেখানে কিছু সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকান রাখা হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত প্রকল্পের সমন্বয় সভার সভাপতিত্ব করেন রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুর রহমান। এতে নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
উন্মুক্ত জায়গাজুড়ে বসেছে খাবারের দোকান রাজউক সূত্র জানায়, হাতিরঝিল প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলে ২৯টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে আরও কিছু স্থায়ী দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ এ দোকানগুলো ঝিলের মাস্টার প্লান বা নকশায় নেই। এতে হাতিরঝিলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। কমছে উন্মুক্ত স্থান। পাশাপাশি ওই সব দোকানে খেতে আসা মানুষের অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে এ পথে চলাচলকারী যানবাহনের গতিও কমছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা।
দোকানগুলোর খাবারের মান ও দাম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই নগরবাসী, পরিবেশবাদী ও নগর পরিকল্পনাবিদরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। এ অবস্থায় হাতিরঝিলের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখতে স্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ‘মাস্টার প্ল্যান ভঙ্গ করে হাতিরঝিলে দোকান’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন। এতে বলা হয়, গত বছরের বিভিন্ন সময়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে ২৯টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পিকআপে খাবারের দোকান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব দোকান হবে ভ্রাম্যমাণ। দুপুরের পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তারা ব্যবসা করতে পারবে। এরপর নিজ ব্যবস্থাপনার পিকআপ ভ্যানে করে চলে যাবে। প্রথম কয়েকদিন এমন চিত্র দেখা গেলেও বর্তমানে কোনও দোকানই ভ্রাম্যমাণ নয়। উপরন্তু, সব দোকান ঝিলের পাড় ঘেঁষে ও উন্মুক্ত স্থান দখল করে, অবকাঠামো নির্মাণ করে পরিচালিত হচ্ছে। এতে ঝিলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
সেসময় রাজউক চেয়ারম্যান বলেছিলেন, বরাদ্দপ্রাপ্তদের কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যারা শর্ত মানছেন না তাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হবে। এখানে আপসের কিছু নেই। অভিযোগ যেহেতু এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
সংবাদটি প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়েচড়ে বসে।
জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস (প্রকল্প ও ডিজাইন) বলেন, ‘হাতিরঝিল থেকে স্থায়ী দোকান উঠিয়ে দেওয়া একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

 

/এসএস/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
তুর্কি মিডফিল্ডারের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
তুর্কি মিডফিল্ডারের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!