স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে চতুর্থ দিনের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ এবং অসুস্থ শিক্ষকের সংখ্যা দুটোই বেড়েছে। অনশনের কারণে বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৬০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন।
বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) দুপুর পর্যন্ত অসুস্থ শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৬০ জনের কাছাকাছি। এরমধ্যে ৪২ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে এবং পাঁচজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (২৭ জুন) পর্যন্ত অসুস্থ শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ২০ জন।’ অন্যদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশে অনশনস্থলে বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের আরও সমাগম দেখা গেছে, যা অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেডারেশন সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, ‘আমাদের দাবি ন্যায্য। এখানে সারা দেশ থেকে শিক্ষকরা আসছেন এবং আরও আসবেন।’
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘আজ সংসদে বাজেট পাস হতে যাচ্ছে। যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম ২৪ জুনের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে ২৫ জুন থেকে আমরণ অনশনে বসবো। সেই ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে অনশনে বসেছি। যত ঝড়-তুফান আসুক না কেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।’
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে এ বছরের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কিন্তু ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। এরপর শিক্ষকরা আবার রাজপথে নামেন এমপিওভুক্তির দাবিতে। ১২ দিনের অবস্থান কর্মসূচির পর তারা ফের নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা দেন। সোমবার (২৫ জুন) থেকে আমরণ অনশন পালন করছেন শিক্ষকরা।