রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে একটি সিমেন্ট কোম্পানির এক সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (এসআর)-কে সিমেন্টের অর্ডার দেওয়ার কথা বলে এক তরুণী তার বাসায় ডেকে নেয়। পরবর্তীতে তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে প্রতারক চক্র। এমনই একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত ব্যক্তিকে।
সোমবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপি’র ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এই তথ্য জানান।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো— সবুজ (৪২), বশির (৩০), ফারুক (৩৬), লাভলু (৪০) ও জালাল মিয়া (৩৬)।
ডিসি ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আব্দুল হক রাজ (৬১) শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানিতে এসআর পদে চাকরি করেন। গত ১২ জুলাই আশা নামের এক তরুণী তাকে ফোন করে। ফোনে ওই তরুণী জানায়— কনস্ট্রাকশনের সাইটের জন্য অনেক সিমেন্ট লাগবে। ফোন পেয়ে আব্দুল হক গেন্ডারিয়ার সোনালী-নুপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যান। এরপর আশা তাকে কনস্ট্রাকশন সাইটের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য আব্দুল হককে টঙ্গীর দত্তপাড়ার একটি তিন তলা বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই কয়েক ব্যক্তি ছিল। তারা আব্দুল হককে সেখানে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখায় ও মারধর করে। পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে আনার জন্য প্রতারকরা আব্দুল হককের চাপ প্রয়োগ করে।’
তিনি বলেন, ‘আব্দুল হকের পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। এরপর অপহরণকারীরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পুলিশও ক্রমাগত বিভিন্নভাবে তাদের ট্রাকিং করতে থাকে।’
পরবর্তীতে গত ১৫ জুলাই অপহৃত আব্দুল হককে তুরাগ থানার কামার পাড়ার জালাল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণের টাকার জন্য নির্যাতন করা হয়। গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ ওইদিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জালালের বাসা থেকে আব্দুল হককে উদ্ধার করে। এসময় বশির, ফারুক, জালালকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গী থেকে সবুজ ও লাভলুকে গ্রেফতার করা হয়।
এই বিষয়ে গেন্ডারিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। তবে আশা নামে যে তরুণী আব্দুল হককে ফোন করেছিল, তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ডিসি।