জিপিএ-৫ বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয়। এটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেউ প্রতারণা করেছেন। টাকা দিয়ে জিপিএ-৫ বিক্রি হয় না।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমান পরীক্ষা-২০১৮ উপলক্ষে জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজবকে কেন্দ্র করে দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সভায় জিপিএ-৫ বিক্রির বিষয়টি নাকচ করা হয়।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন ‘এইচএসসি পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড গত ১০ জুন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে তদন্ত কমিটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
ওই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ইউনুস আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (নিরীক্ষা) আহমদ শামীম আল রাজী এবং উপসচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।
জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০১৮ উপলক্ষে জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় অনুষ্ঠানে সচিব বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, একটি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নাজেহাল করার চেষ্টা করেছে। একটি টেলিভিশন জিপিএ-ফাইভ টাকা দিয়ে কেনা যায় বলে প্রচার করেছে। এই বিষয়টি অবিশ্বাস করার কিছু নেই, কারণ তারা ভেতরের খবর জানেন না। আমরা তদন্ত করে দেখেছি কোনও অবস্থাতেই এটি সম্ভব নয়। আমরা আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু একটি দায়িত্বশীল মিডিয়া এটি প্রচার করেছে, সে কারণে আমরা তদন্ত করেছি। তদন্তে এসেছে এটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়, প্রতারণা হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস নিয়েও বিভিন্ন মিডিয়া ঘটনা যা নয় তাই প্রচার করেছে। সে কারণে আমরা চাচ্ছি পরীক্ষাগুলো শতভাগ সুষ্ঠুভাবে হতে পারে। আর সেজন্য আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
গুজব সৃষ্টি ঠেকাতে মিডিয়াকে তথ্যউপাত্ত দিয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরার সুপারিশ করা হয় এ সভায়। সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজব ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সব গণমাধ্যমের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ঠেকাতে সহায়তা চান।