X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশনা শিল্পে সংকট দেখছেন প্রকাশকরা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৫আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:২৫

 

প্রকাশনা শিল্পে সংকট দেখছেন প্রকাশকরা বই প্রকাশনা শিল্প এগিয়ে নিতে কার কী দায়িত্ব? সরকারের, প্রকাশকের, লেখকের এবং পাঠকদের দায়িত্ব নিয়ে কথা উঠেছে। কথা উঠেছে প্রকাশনা শিল্প ও বইয়ের বিপণনের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ নিয়েও। পাশাপাশি ‘প্রকাশনা শিল্প ও বইয়ের বিপণন’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তাদের কণ্ঠে ফুটে ওঠে শঙ্কাও। তারা এই শিল্পের সংকটের দিকে দৃকপাত করেন।
‘ঢাকা লিট ফেস্ট-২০১৮’-এর উদ্বোধনী দিন বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বাংলা একাডেমির কসমিক টেন্টে আয়োজিত ‘প্রকাশনা শিল্প ও বইয়ের বিপণন’ শীর্ষক আলোচনায় যোগ দেন প্রকাশক খান মাহাবুব, মিলন কান্তি নাথ, সৈয়দ জাকির হোসেন, মারুখ মহিউদ্দীন এবং পশ্চিমবঙ্গের ‘দে প্রকাশনা’র প্রকাশক অপু দে। সঞ্চালনায় ছিলেন ফিরোজ আহমেদ।
সঞ্চালক ফিরোজ আহমেদ প্রশ্ন করেন, মধ্যবিত্ত মানুষের আয়ের সঙ্গে বইয়ের চাহিদা কি বাড়ছে? এর জবাবে প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশে বইয়ের চাহিদা বাড়ছে। সেটা কোন শ্রেণির মানুষের, সেই উপাত্ত আমাদের কাছে নেই। কিন্তু আমাদের দেশে একটা বাতিক দেখা যাচ্ছে— গত কয়েক বছর ধরে বইয়ের প্রকাশনা কিন্তু একুশে বইমেলা কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রকাশকরাই সম্পাদনা করছেন, নিজেরাই প্রুফ দেখছেন, নিজেরাই বিক্রেতা হিসেবে কাজ করছেন। একশ্রেণির পাঠকের পাঠ্যাভাসের সঙ্গে মৌলিক জ্ঞানের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।’
তথ্যউপাত্ত প্রসঙ্গে মিলন কান্তি নাথ বলেন, ‘আমাদের দেশে ন্যাশনাল বুক সেন্টার রয়েছে। গত ২৪ বছর আগে গ্রন্থমালা নীতি করা হয়েছে। কিন্তু আফসোসের বিষয় এই যে এই নীতির ১০ শতাংশও আজ মানা হয় না। সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে এই উপাত্ত যথাযথভাবে তৈরি করা সম্ভব নয়।’
খান মাহাবুব বলেন, ‘মানুষের চাহিদার সঙ্গে যোগানের সম্পর্ক রয়েছে।’ সঞ্চালক ফিরোজ আহমেদ গবেষণা বইয়ের প্রসঙ্গ তোলায় সেই সূত্রে তিনি বলেন, ‘গবেষণা বইয়ের চাহিদা ইদানীং কমে যাচ্ছে। ছাত্র ও শিক্ষক উভয়েই দেশের তুলনায় দেশের বাইরে গবেষণা নিয়ে বেশি আগ্রহী।’
মারুখ মহিউদ্দীন বলেন, ‘প্রকাশনা সিস্টেম হলো ইকো সিস্টেমের মতো। এখানে আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে জড়িত।’ মারুখ মহিউদ্দীনের এই কথার জেরে সঞ্চালক ফিরোজ আহমেদ যোগ করেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে আমাদের এই শিল্প তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতে একটাকার বইয়ে ৭০ পয়সা লাভ হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না।’
এ পটভূমিতে প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, এনবিআরের কাছে গিয়েছি। যা করেছি নিজের উদ্যোগে করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’
পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশক অপু দে বলেন, ‘আমাদের দেশে ইংরেজি বইয়ের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আমাদের বইয়ের (বাংলা) চাহিদাও সেই হারে বাড়ছে কিনা, সেটা আমি বলতে না পারলেও কমছে না— সেটা বলতে পারবো।’
বাংলাদেশের গণগ্রন্থগার বা পাবলিক লাইব্রেরি বছরে এককোটি ৭৮ লাখ টাকার বইয়ের জন্য বরাদ্দ পায়। কিন্তু এর ৩০ শতাংশ বই-ই বিদেশি। সরকার যদি নিজস্ব অর্থায়নে এগিয়ে আসে তাহলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। নাহলে পিডিএফের যুগে পাঠকেরা বইয়ের তুলনায় ই-বুকের দিকেই ঝুঁকে পড়বে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে সঞ্চালক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘টেকনোলোজির দিক দিয়ে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।’

 

/এইচআই/
সম্পর্কিত
আমি ইউটিউবে বাংলাদেশের নাটক দেখি: শীর্ষেন্দু
দৃঢ় হলো পাঠক-লেখকের বন্ধন, শেষ হলো ঢাকা লিট ফেস্ট
ফেক নিউজ: অধিকার, দায়বোধ, প্রতিকার
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা