X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ বছরেও শেষ হয়নি প্রথম আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার মামলার বিচার

দীপু সারোয়ার
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৯আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:০৪

প্রথম আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার মামলা: পর্ব ০১

শত্রু শিবিরে হামলার জন্য সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার হয় যে আর্জেস গ্রেনেড তা ঢাকার কুড়িলের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রথম ধরা পড়ে ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর। কূটনৈতিক পাড়ার অদূরে ২০টি আর্জেস গ্রেনেডের সঙ্গে উদ্ধার হয় আরও কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক। স্বভাবতই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এমন ঘটনার নাটের গুরু কারা তা জানার আগ্রহ ছিল দেশবাসীর। কিন্তু, বাস্তবতা হচ্ছে দীর্ঘ ১৫ বছরেও শেষ হয়নি এই মামলার বিচার কাজ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা আর মামলার আসামিদের গরহাজির থাকার অজুহাতে মামলাটির বিচারকাজই তেমন একটা এগোয়নি। মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে যাদের গ্রেফতার করা হয় তারাও বর্তমানে জামিনে রয়েছে। অথচ এ ঘটনার পর দেশে আর্জেস গ্রেনেড হামলার ঘটনা আরও একাধিকবার ঘটেছে। এমন গ্রেনেডের হামলা থেকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তদানীন্তন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু, শেখ হাসিনার ওই সমাবেশে শক্তিশালী আর্জেস গ্রেনেডের হামলায় নিহত হন তদানীন্তন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ আরও অনেকে। আহত হন শতাধিক ব্যক্তি। হবিগঞ্জে এমনই এক আর্জেস গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি  দেশে আনা প্রথম আর্জেস গ্রেনেডের চালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী ও এর মূল হোতাদের সময়মতো বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যেত তাহলে পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটানোর সাহস পেত না দুর্বৃত্তরা।

২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর পুলিশের অভিযানে কুড়িল বিশ্বরোডের ‘তুলির পরশ’থেকে উদ্ধার হয় দুটি বাক্সে রাখা ২০টি আর্জেস গ্রেনেড, ৯৯০ রাউন্ড গুলি, চারটি একে-৮৭ রাইফেল, মেইড ইন পাকিস্তান লেখা গুলিভর্তি দুটি পয়েন্ট ৩২ রিভলবার, হাতে তৈরি দুটি বোমা, চারটি টাইমবোমা,ছয়টি ইলেকট্রিক ডেটোনেটর, দুই কেজি প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ (উচ্চক্ষমতার বিস্ফোরক), আধা কেজি গান পাউডার, সাড়ে চার গজ ডেটোনেটিং কর্ড,চার্জারসহ দুটি ফায়ারিং ডিভাইস ও একটি ওয়াকিটকি। অস্ত্র ও বিস্ফোরকগুলো উদ্ধারের আগ মুহূর্তে পুলিশ সন্দেহবশত আটক করে রূবেল নামে এক ব্যক্তিকে। পরে ‘তুলির পরশ’ দোকানটিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় রূবেল। পুলিশের তালিকায় রুবেল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।  

এ ঘটনায় ২০০৩ সালের ৩০ নভেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় দু’টি মামলা হয়। পুলিশের ওপর হামলা, হত্যাচেষ্টা এবং দায়িত্বপালনে বাধা দেওয়ার মামলায় মামলা হয় একটি। এ মামলার আসামি করা হয় রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের। অপর মামলাটি হয় অস্ত্র আইনে। এই মামলাতেও আসামি করা হয় রুবেল, মানিক ও অজ্ঞাতনামা দু’জনকে। থানা পুলিশ হয়ে প্রথমে মামলাটি দু’টির তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে। দু’টি মামলার এজাহারে দুই আসামির নাম উল্লেখ থাকলেও তদন্তের পর অভিযোগপত্রে আসামি হিসেবে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আসামিদের পাঁচজনের নাম, পরিচয় ও ঠিকানা উল্লেখ থাকলেও একজনের পরিচয় ও ঠিকানা উল্লেখ নেই।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালত গ্রহণ করে। এরপর শুরু হয় বিচার কাজ। ১৫ বছরেও মামলার বিচার কাজ তেমন একটা এগোয়নি। পাঁচবার আদালত পরিবর্তন হয়েছে। সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে পাঁচজন সাক্ষীর। বর্তমানে বিচার কাজ চলছে ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১২’ এর বিচারক মো. বুলবুল হোসেনের আদালতে। আগামী ১ এপ্রিল মামলাটির পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ছয় আসামির মধ্যে একমাত্র রুবেলই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামি মো. জাহাঙ্গীর ও মেহেদী হাসান মানিক আদালতে গড় হাজির। আর শীর্ষ সন্ত্রাসী মকবুল হোসেন ওরফে মুকুল ও শামসুল আলম ওরফে নুর আলম ওরফে নুরু পলাতক আছে। আসামিদের মধ্যে রুবেল ঘটনাস্থল থেকে এবং মানিক তার কুড়িলের বাসা থেকে ঘটনার পরপরই গ্রেফতার হয় এবং ২০০৯ সালে জামিনে বেরিয়ে আসে। আরেক আসামি জাহাঙ্গীর ২০০৯ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে এবং প্রায় দু’বছর কারাবাসের পর জামিন পায়।

আর্জেস গ্রেনেড ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু মামলার হালনাগাদ কোনও তথ্য জানাতে পারেননি। দীর্ঘসূত্রতার বিষয়টিও জানা নেই তার।

আসামি মো. জাহাঙ্গীরের আইনজীবী বেলাল হোসেন জানান,বারবার টাইম পিটিশন করে সময় নেওয়া হচ্ছে তার জন্য। তবে জাহাঙ্গীর এখন আদালতে গড় হাজির।

অন্য আসামি রুবেল ও মেহেদী হাসান মানিকের আইনজীবী গিয়াসউদ্দিন হাওলাদার জানান,ন্যায়বিচার পাবো এই প্রত্যাশা থেকে মামলা লড়ছি। 

যেভাবে উদ্ধার হলো প্রথম আর্জেস গ্রেনেডসহ অন্যান্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক:

‘২৯ নভেম্বর, ২০০৩। সময় রাত ১০টা। মহাখালী, বাড্ডা, গুলশান ও বনানী এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত মো. জাহাঙ্গীরের ডাকে সাড়া দিয়ে আব্দুল আজিজ ওরফে রুবেল ওরফে আজিজুর রহমান বাসা থেকে বের হয়। পেশাদার খুনি হিসেবে পরিচিত রুবেলকে নিয়ে যাওয়া হয় ক-৯৬, কুড়িল বিশ্বরোড, বারিধারা, বাড্ডায় তুলির পরশ নামে একটি সাইনবোর্ড লেখার দোকানের সামনে। আগে থেকেই একটি ট্রাক দাঁড়ানো ছিল সেখানে। রুবেলের সঙ্গে দেখা হয় মুকুল (শীর্ষ সন্ত্রাসী মকবুল হোসেন ওরফে মুকুল), মানিক (তুলির পরশ দোকানের মালিক মেহেদী হাসান ওরফে মানিক), লিংকন ও নুরুর (শামসুল আলম ওরফে নুর আলম ওরফে নুরু)। তাদের নির্দেশে কিছু দূরে (৩০/৪০ গজ দূরে) দাঁড়িয়ে পুলিশ ও সন্দেহজনক গতিবিধির ওপর নজর রাখে রুবেল।

আধাঘণ্টা পর মুকুল, মানিক, লিংকন ও নুরু ট্রাক থেকে চটের বস্তায় মোড়ানো কয়েকটি বাক্স নামিয়ে ‘তুলির পরশ’ দোকানে নিয়ে যায়। এরপর রুবেল ও নুরু ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। দুই, আড়াই ঘণ্টা পর রুবেল আবার ‘তুলির পরশে’’ যায় এবং দু’টি রাইফেল দেখতে পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিন্তু পথেই পুলিশের মুখোমুখি হয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হয়। রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘তুলির পরশে’’ লাইট জ্বালানো দেখে জানালা দিয়ে উঁকি দেয় পুলিশ। সেসময় সেখানে ছিল মুকুল ও তার বন্ধু জাহাঙ্গীর। ‘তুলির পরশ’—এর দরজায় কড়া নাড়লে লাইট নিভিয়ে দরজা খোলে মুকুল ও জাহাঙ্গীর। পুলিশ দেখতে পেয়ে গুলি শুরু করে তারা। এতে গুলিবিদ্ধ হয় রুবেল। মুকুল ও জাহাঙ্গীর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশি প্রহরায় গুলিবিদ্ধ রুবেলকে প্রথমে চিকিৎসা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা চলে তার। সুস্থ হলে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।’

দেশে প্রথম আর্জেস গ্রেনেড ও প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ উদ্ধার মামলার অন্যতম আসামি রুবেল ২০০৪ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জগন্নাথ দাস খোকনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য দেয়।

জবানবন্দিতে রুবেল নিজেকে মুদির দোকানি হিসেবে উল্লেখ করে। আর তার বন্ধু মুকুলের পরিচয় তুলে ধরে ব্যবসায়ী হিসেবে। জাহাঙ্গীরের পরিচয় বলা হয় রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী। রংবাজ হিসেবে লিংকনের পরিচয় তুলে ধরা হয়। জবানবন্দিতে রবিন নামে আরও একজনের নাম আছে। তবে মুকুল, জাহাঙ্গীর ও লিংকনের বন্ধু হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়েছে। আর রুবেলের সঙ্গে এদের পরিচয় মুকুলের মাধ্যমে বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়। তবে গ্রেনেড-অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে রবিনের কোনও সম্পৃক্ততার তথ্য জবানবন্দিতে দেয়নি রুবেল। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী রবিন। হত্যা, হত্যাচেষ্টা, অপহরণসহ নানা অপরাধের অভিযোগে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরে এই রবিনের বিরুদ্ধে এক শ’র বেশি মামলা রয়েছে।

উদ্ধার করা অস্ত্র

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই দণ্ডিত:

চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন সিআইডির (সিটি জোন উত্তর) তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে আর্জেস গ্রেনেড হামলা মামলার প্রথম দিককার তদন্ত কর্মকর্তাদের একজন মুন্সী আতিকুর রহমান। দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অভিযোগে মুন্সী আতিক পরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি হন। এই মামলার রায়ের একটি আদেশে দুই বছরের এবং আরেকটি আদেশে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি।

সন্ত্রাসীদের পক্ষে কি আর্জেস গ্রেনেড আনা সম্ভব?:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য বলছে, আর্জেস গ্রেনেড ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার মামলায় আসামি হিসেবে অভিযুক্ত মকবুল হোসেন ওরফে মুকুল, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শামসুল আলম ওরফে নুর আলম ওরফে নুরু এবং আব্দুল আজিজ ওরফে রুবেল ওরফে আজিজুর রহমান শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পুলিশের খাতায় তালিকাভুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানী ও আশপাশের জেলায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, অপহরণ, চাঁদাবাজির শতাধিক মামলা আছে। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করাসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়েছে। তবে প্রশ্ন ওঠে, ঢাকা শহরের একটি অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কিছু অপরাধীর পক্ষে কি সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করে মজুত করা সম্ভব? সঙ্গত কারণেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের সন্দেহ, এই আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের চালানের পেছনে একটি সুসংগঠিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি চক্রের জড়িত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। আসামিদের হয়তো তারা বাহক হিসেবেই ব্যবহার করেছে। তবে তারা কারা তা উদঘাটনে সরকারের পক্ষ থেকে যে গভীর অনুসন্ধানের প্রয়োজন ছিল গত ১৫ বছরে তা দেখা যায়নি। এমনকি মামলাটির আসামি করা হয়েছে যাদের তাদের মধ্যে রুবেলসহ দুজনের ছবিও সংগ্রহে নেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে।অথচ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ রুবেলকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে পুলিশি পাহারায় বিশেষায়িত হাসপাতালে। এছাড়াও মামলার আসামি রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং অভিযোগপত্রে দেখা গেছে, গ্রেনেড-অস্ত্র চালানের উৎস কিংবা যে ট্রাক থেকে গ্রেনেড-অস্ত্র নামিয়ে ‘তুলির পরশে’নেওয়া হয় সেই ট্রাক, ট্রাকচালক ও হেলপারের বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। এসব অনুসন্ধানে সিআইডি কাজ করেছে এমন তথ্যও নেই।

কুড়িলে যেখান থেকে অস্ত্র-গ্রেনেড উদ্ধার হয় সেখান থেকে বারিধারার কূটনৈতিক এলাকা থেকে মাত্র  কিলোমিটার দূরে। কূটনৈতিক এলাকা মানেই স্পর্শকাতর এলাকা। এরকম একটা এলাকার খুব কাছে কারা কী উদ্দেশে অস্ত্র-গ্রেনেড জড়ো করেছিল, কেন করেছিল মামলার অভিযোগপত্রে তার কোনও উত্তরও নেই। অস্ত্র-গ্রেনেডের মূল গন্তব্য অন্য কোথাও হলে কোথায়, কার কাছে, কারা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে এর কোনও জবাব মিলছে না।

জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ বলেন, ‘কুড়িলে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক বাংলাদেশে উৎপাদন হয় না। ফলে এগুলো দেশের বাইরে থেকেই এসেছে এতে কোনও সন্দেহ নেই। অবৈধভাবে দেশে আসা এসব অস্ত্র-বিস্ফোরকের উৎস সম্পর্কে জানা না গেলে, কারা এর সঙ্গে জড়িত অনুসন্ধান-তদন্তে তা বের না হলে ঝুঁকি থেকেই যাবে। কুড়িলের ঘটনাটি কত পুরনো সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হয়েছে কিনা তা গুরুত্বপূর্ণ।’

আগামীকাল পড়ুন: হুজি ও উলফার জন্য ঢাকায় আনা হয় গ্রেনেড ও বিস্ফোরক!

/ডিএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা