দেশে বছরে ছয় লাখ মানুষ দগ্ধ হয়। এই সংখ্যাটা শুধু বাংলাদেশেই, পৃথিবীর আর কোথাও এত মানুষ দগ্ধ হয় না। পাশের দেশ ভারতেও এত মানুষ আগুনে দগ্ধ হয় না।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা.সামন্ত লাল সেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রতিদিনই ব্য়লার,গ্যাসলাইন বা গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। দেখা যায়, বেশিরভাগ গ্যাসলাইন অবৈধ। এর প্রভাব সবসময়ই আমরা দেখতে পাচ্ছি। প্রতিদিন মানুষ আগুনে হতাহত হচ্ছে। ব্যবসায়িক কারণে সামান্য কয়টা টাকার লোভে মালিক নিজে তার শ্রমিককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।’
সামন্তলাল সেন বলেন, ‘আমি ইউরোপের কথা বলবো না। সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়াতেও এত পোড়া রোগী হয় না। মালয়েশিয়ার হাসপাতালে ভিজিটে গিয়ে মাত্র একজন পোড়া রোগী পেয়েছি। সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে কোনও পোড়া রোগী পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পোড়া রোগী আসলে এবং বেশি বার্ন হলে কিছু করার থাকে না। তাই নিমতলীর ঘটনাতেও বলেছি, এখনও সবাইকে সচেতন হবার জন্য বলি— সচেতন না হলে এধরনের ভয়াবহ আগুন থেকে আমরা কোনোদিন মুক্তি পাবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু অসচেতনতার কারণে এত মানুষ প্রতিদিন দগ্ধ হয়, এই বিষয়টা আমাকে ভীষণ ক্ষোভের সৃষ্টি করে।’