ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) প্রধান নির্বাহী সাঈদ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সারা পৃথিবীতেই জনগণ গুণগত মান যাচাই করে তার পরে একটা সিদ্ধান্ত নিতে চায়। র্যাংকিং সেখান থেকে এসেছে। অনেক সময় গুণগত মান বৃদ্ধিতে র্যাংকিং সহায়তা করে। আমরা কিন্তু কোন সিনেমা দেখতে যাবো সেটা র্যাংকিং দেখেই যাই। উবার চালককে র্যাংকিং ভালো দিলে ব্যবহারটি ভালো পাই। আমি কোন দেশে বেড়াতে যাবো আমি ট্রিপ অ্যাডভাইজার দেখে বেড়াতে যাই। সবকিছুতেই মানুষ র্যাংকিং করছে।’
দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (২৭ মে) বিকালে শুরু হয় বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক এই আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘র্যাংকিং করার কারণে বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তখন কিন্তু চিন্তা করা শুরু করে যে আমার এখন তথ্য দিতে হবে। এই যে বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তথ্য দিতে চায় না– এখন কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা চলছে যে টাইমস হায়ার এডুকেশনে র্যাংকিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য তথ্য ঠিকমতো দেওয়ার। ভিসি বলেছেন, আমাদের কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল। টাইমস কিন্তু বসে নেই, সে কিন্তু এই নিয়ে চিন্তিত না যে, আমাকে তথ্য কেন দিলো না। আপনি যদি মার্কেটিং করে র্যাংকিংকে একটি জায়গায় দাঁড় করাতে পারেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাধ্য হবে এই প্রতিযোগিতায় ঢুকতে।’
সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকিতে আরও অংশ নিয়েছেন– বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তানবীর আহমেদ চৌধুরী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওআরজি কোয়েস্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুরুল হক, ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান এবং বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।
রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন। ইউল্যাবের সহযোগিতায় বৈঠকিটি আয়োজিত হয়েছে।