X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের বন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব কার?

আমানুর রহমান রনি
১৮ জুলাই ২০১৯, ১০:১৯আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৯, ১২:৩৮

বিমানবন্দরে চলছে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন (ফাইল ফটো) বিশ্বের নানা দেশে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে বিশেষায়িত ইউনিট কাজ করলেও দেশে তেমন কোনও ইউনিট নেই। কাগজ-কলমে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর থাকলেও দেশের আন্তর্জাতিক বিমান, স্থল, রেল ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে তাদের কোনও কাজ নেই। এর বদলে ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। তবে পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে নিয়মিত বদলি হওয়ায় তারা স্থায়ীভাবে ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। যে কারণে বিশেষজ্ঞ ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে ইমিগ্রেশনের জন্য বিশেষায়িত বিভাগ গড়ে তোলার কথা বলা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

গত ৫ জুন রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়াই ইমিগ্রেশন পার হয়ে কাতারে যান। এ ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১৭ জুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। কমিটি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের নিজস্ব জনবল দিয়ে ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করার সুপারিশ করেছে। প্রতিবেদনে এই সুপারিশ ছাড়া আরও ৯-১০টি সুপারিশ করেছে কমিটি।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পাসপোর্ট ছাপানো ও বিদেশিদের ভিসা দেওয়া ছাড়া ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের তেমন কোনও কাজ নেই। পাসপোর্ট ছাপানোর ক্ষেত্রেও পুলিশের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।

এদিকে, ইমিগ্রেশন অধিদফতর বিদেশিদের ভিসা দিলেও বন্দরে আগমনী ভিসা বা অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয় পুলিশ। অথচ ভিসা দেওয়ার কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশন অধিদফতর।

১৯৬২ সালে একটি পরিদফতর হিসেবে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রূপে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ইমিগ্রেশনে এই অধিদফতর কখনও দায়িত্ব পালন করেনি। এমনকি এর জন্য তাদের জনবলও নেই। বিভিন্ন বন্দরে পুলিশ সদস্যদের দিয়েই এ কাজ চলছে। অধিদফতর হওয়ার পরেও ১৯৭৩ সালে এক নির্বাহী আদেশে পুলিশকে ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯১ সালের দিকে দেশের আন্তর্জাতিক বন্দরে ইমিগ্রেশন অধিদফতরকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ১৯৯৮ সালের দিকে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু হয়। ওই বছর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশমুখ বা এন্ট্রি পয়েন্টে ভিসা দেওয়ার জন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ‘ভিসা সেল’ স্থাপন করতে অধিদফতরকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।

ওই আদেশে বলা হয়, ‘বিমানবন্দরে বিদেশিদের ভিসা, অবতরণ সম্মতি, দেশত্যাগের অনুমোদনসহ অন্যান্য ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কাজ করবে অধিদফতরের ‘ভিসা সেল’। এছাড়া ১৯৯৮ সালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, ঢাকার মাধ্যমে বিনা ভিসায় আগতদের আগমনী ভিসা ইস্যু করার জন্য পুলিশের এসবিকে দেওয়া দায়িত্ব প্রত্যাহার করা হয়।’

যদিও শাহজালাল ছাড়া অন্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমনী ভিসা প্রদান করতো পুলিশ।

১৯৯৮ সালের ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। তারা ভিসা সেল স্থাপন করে বিদেশিদের আগমনী ভিসা দেওয়া শুরু করে। তবে ২০১১ সালের ১৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রে বিদেশিদের আগমনী ভিসা দেওয়ার জন্য পুলিশের এসবির ইমিগ্রেশনকে পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ভিসা সেল থেকেও আগমনী ভিসা দেওয়া চালু থাকায় বিমানবন্দরে দ্বৈত কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয়। 

পরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ‘ভিসা সেল’ থেকে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে পুলিশের এসবি শাখা এ দায়িত্ব পালন করে আসছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে এক হাজার ১৮৪টি পদ রয়েছে। ২০১৮ সালে অধিদফতরের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসের জন্য ৮২১ ইমিগ্রেশন অফিসারসহ মোট দুই হাজার ৯৫৩টি পদের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইমিগ্রেশন অফিসারের পদ ছাড়া পাসপোর্টের জন্য ৯৭৭টি পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেয়। ইমিগ্রেশনের জন্য জনবল সৃষ্টির বিষয়টি জনপ্রশাসনে বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে অধিদফতর বলছে, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই জনবল পায়নি অধিদফতর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমানে জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা নামে দুটি বিভাগের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সরকারের কার্যবিধি অনুযায়ী পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাভুক্ত। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন।

তবে জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন হয়েও তারা সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনস্থ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের কাজ করছে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা সুরক্ষা বিভাগের অধীনে থাকা অধিদফতরটির বিভিন্ন পুরনো নথিতে দেখা গেছে, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলতে ‘ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর’কেই বোঝানো হয়। সে হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়। বন্দরে কোনও মামলা হলে তার প্রতিপক্ষও হয় এই অধিদফতর। উচ্চ আদালতও বিভিন্ন মামলা নিষ্পত্তিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ হিসেবেও এ অধিদফতরকে বাদী বা বিবাদী বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, পুলিশের বিশেষ শাখার একজন ডিআইজির নেতৃত্বে দেশের বন্দরগুলোতে বর্তমানে ৯৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৮৬১ সালের পুলিশ অ্যাক্ট, ১৯২০ সালের পাসপোর্ট অ্যাক্ট, ১৯৩৯ সালের দ্য রেজিস্ট্রেশন অব ফরেইনার অ্যাক্ট, ১৯৪৬ সালের দ্য ফরেইনার অ্যাক্ট, ১৯৫১ সালের দ্য ফরেইনার অর্ডার এবং ১৯৫২ সালের দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্টের বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েই তারা এ কাজ করছেন। 

তবে এসব আইনে বন্দরে পুলিশের উপস্থিতি বা অবস্থানের কথা বলা হলেও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম বাহিনীটির সদস্যরা করবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশের বিশেষায়িত বিভিন্ন ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, নৌ-পুলিশ, শিল্পপুলিশ। তবে, ইমিগ্রেশনের জন্য আলাদা কোনও বিশেষায়িত ইউনিট নেই। এসবি’র একটি শাখা ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

বিশেষায়িত ইমিগ্রেশন ইউনিট না থাকায় যে সমস্যা হচ্ছে

বিশেষায়িত ইমিগ্রেশন না থাকায় বাংলাদেশে আসা বিদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান ও নজরদারিতে সমস্যা হচ্ছে। দেশে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার বিষয় কেবল হিসাব থাকে দেশের বন্দরের ইমিগ্রেশনে। কিন্তু কেউ যদি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করে তাহলে তাদের খুঁজে বের করার কোনও কাযক্রম নেই।

কোন বিদেশি, কোন ভিসায়, কখন এলেন, তার ভিসার মেয়াদ কবে শেষ, কী করছেন, একক কোনও প্রতিষ্ঠানের কাছে তার কোনও তথ্য নেই। কেউ ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে কাজ করছেন, কেউ খেলছেন, কেউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও তথ্য সংগ্রহ করছেন ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে। অনেকে আবার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করেন। মাদক, জাল টাকার কারবারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছেন এসব বিদেশি।

সম্প্রতি এটিএম বুথ হ্যাক করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। চক্রটি এসেছিল ট্যুরিস্ট ভিসায়। এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী এই চক্রটির একজনকে ধরার পর অপরদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ইউক্রেনের ছয় নাগরিক গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন গত জুনে ২০টি দেশের সহস্রাধিক অবৈধ অভিবাসী ঢাকায় আছে বলে জানিয়েছিলেন। সেই পরিসংখ্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিদেশি অবৈধ অভিবাসীর একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান আমি এর আগে বলেছিলাম। তবে একেবারে সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছেও নেই।’ 

 বিভিন্ন দেশে ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব পালন করে যেসব প্রতিষ্ঠান

বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আলাদা। আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ করে, এমন নজির থাকলেও সেই জায়গা থেকে অনেক রাষ্ট্র সরে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে রয়েছে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ এবং ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) নামে একটি আলাদা সংস্থা।

পাশের দেশ ভারতে ব্যুরো অব ইমিগ্রেশন (বিওই) নামে একটি আলাদা সংস্থা কাজ করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই বিভাগটি ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কানাডায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপ নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পালন করছে। এ রকম বিশ্বের অসংখ্য দেশ রয়েছে, যাদের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনায় আলাদা বিভাগ বা সংস্থা রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োজিত পুলিশ ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব পালন করে, এ রকম দেশের সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

দেশ উন্নত হচ্ছে, বন্দরের সংখ্যা বেড়েছে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের কারণে প্রতিদিন শত শত বিদেশি বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেন। তাই একটি বিশেষায়িত পূর্ণাঙ্গ ইমিগ্রেশন সংস্থা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বিশেষায়িত সংস্থা কেবল এ বিষয়েই কাজ করবে। সেটি পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর দিয়েও করা যায়, যেহেতু এ কাজের জন্যই তা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আবার নতুন করেও প্রতিষ্ঠান করা যায়।

বিশেষায়িত ইমিগ্রেশন সংস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান বিশ্বে ইমিগ্রেশনের কাজ কেবল অপরাধী চিহ্নিত করা না, গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেওয়াও এর কাজ। এখানে দায়িত্ব পালনের সঙ্গে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিও যুক্ত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সিআর আবরার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি মনে করি আলাদা একটি ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থাকা খুবই ভালো। যারা কেবল ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করবে। তবে তা বাস্তবায়নে আরও বুঝে শুনে এগোতে হবে।’

তবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা অবশ্য বর্তমান প্রক্রিয়াকেই সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পুলিশের এসবির একটি শাখা পুরো ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে রয়েছে। এখানে তথ্য সংগ্রহেরও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। পুলিশের কাছে বিভিন্ন তথ্য থাকে, সেগুলো সমন্বয় করে আমাদের বন্দরের ইমিগ্রেশন কাজ করছে। এখন যে প্রক্রিয়ায় চলছে, তা ঠিক আছে। এতে কোনও সমস্যা নেই।’

সার্বিক বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সুপারিশ আমরা পেয়েছি। তবে বন্দরগুলোতে ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব অধিদফতরকে দেওয়ার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।  

/এআরআর/ টিটি/টিএন/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ