সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা) পর্যন্ত নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইমার্জেন্সি হেলথ অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বলছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এক দিনে আক্রান্তের এ সংখ্যা সবচেয়ে কম।
হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এর আগে গত ২২ জুলাই রোগী সংখ্যা ছিল ৫৫৩ জন। তবে যেভাবে ডেঙ্গু বাড়ছিল সেখান থেকে এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৭-এ নেমে আসাটা একটি স্বস্তির বিষয়, যদিও এখনও আমাদের টার্গেট রোগীর সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা।’
কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রোগী সংখ্যা ছিল ৬৭২ জন, এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ছিল ৭৫০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ২২ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩১ জন। এর মধ্যে ঢাকার ভেতরে ১৫৩ জন, ঢাকার বাইরে ২৭৮ জন।
কন্ট্রোল রুম জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ৫২৭ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১৫৬ জন, ঢাকার বাইরে ৩৭১ জন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৩৪ জন, ১০ সেপ্টেম্বর ছিল ৭৭৩ জন, ৯ সেপ্টেম্বর ছিল ৭১৬ জন, ৮ সেপ্টেম্বর ছিল ৭৬১ জন, ৭ সেপ্টেম্বর ছিল ৬০৭ জন, ৬ সেপ্টেম্বরে ৭৯৩ জন, ৫ সেপ্টেম্বরে ৭৮৮ জন আর ৪ সেপ্টেম্বরে ৮২০ জন।
দেশে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৯৯৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ২৮৫ জন, ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৭১১ জন। সারাদেশে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার ৯৬।
এ মাসে ডেঙ্গু আাক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৭০ জন। আর এ বছরে মোট আক্রান্ত হন ৮০ হাজার ৫৬৭ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ১৯৭টি ঘটনা পর্যালোচনা করার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। এর মধ্যে থেকে ১০১টি ঘটনা পর্যালোচনা করে ৬০টি ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে তারা। এই হিসাব অনুযায়ী এপ্রিলে ২ জন, জুনে ৫ জন, জুলাইয়ে ২৮ জন এবং আগস্টে ২৫ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।