X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চার বছর ধরে থমকে আছে ‍দৃক কর্মকর্তা ইরফানুল হত্যার তদন্ত

আমানুর রহমান রনি
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৪৯আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৩৩

ইরফানুল ইসলাম

 

দৃক গ্যালারির কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম (৪২) অপহরণ ও হত্যা মামলা তদন্ত গত চার বছর ধরে থমকে আছে। কারা ধানমন্ডি থেকে তাকে অপহরণ করে হত্যা করলো, চার বছরেও সেই রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তাই নিহতের স্বজনরা ক্ষুব্ধ। আল্লাহর হাতে বিচারের ভার ছেড়ে দিয়েছেন তারা।

২০১৬ সালের ২ এপ্রিল দুপুরে ধানমন্ডির ৮ নম্বর ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা তোলার পরই নিখোঁজ হন দৃক গ্যালারির কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম। তিনি ব্যাংকে প্রবেশের পর তাকে বহনকারী গাড়িটিকে অবৈধ পার্কিং করায় আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। এসময় ১২ শ’ টাকা জরিমানা করে পুলিশ। পরে চালক নাসির হোসেন পুলিশের হাত থেকে গাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে ব্যাংকের সামনে এসে ইরফানুলকে আর পাননি। চালক ইরফানুলকে ফোন দিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পান। মনে করা হচ্ছে, চালক নাসিরের গাড়ি নিয়ে ফিরতে বিলম্ব হওয়ার সময়ের মধ্যেই অপহৃত হন ইরফান। নিখোঁজের একদিন পর ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল ইরফানুলের বড়ভাই ইমদাদুল ইসলাম কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ, এরপর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।

তবে কোনও তদন্ত সংস্থাই প্রায় চার বছরে এই হত্যাকাণ্ডের কুলকিনার করতে পারেনি। মামলাটির বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মুন্সী আসাদ উল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলার তদন্তের কোনও অগ্রগতি নেই। ধানমন্ডি এলাকায় যারা অতীতে অপহরণ করেছে, এমন দুজন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তারা এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানে না। ঘটনাস্থলে কেবল ডাচ বাংলা ব্যাংকের ভেতরের সিসি ক্যামেরা পাওয়া যায়, বাইরের কোনও সিসি ক্যামেরা পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও ঘটনার দিন কেবল বাসা ও অফিসে কথা বলেছেন তিনি। এর বাইরে কোনও কথোপকথনও পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। তবে এখনও কোনও ক্লু পাইনি।’

এদিকে মামলার বাদী ও নিহতের বড়ভাই ইমদাদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আড়াইটার দিকে আমার ছোট ভাইয়ের ছেলে ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে আমি ধানমণ্ডি যাই। আমাদের পরিচিত পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য সবাইকে বিষয়টি জানাই। তারা যে পরামর্শ দিয়েছেন সেইভাবেই কাজ করেছি। তবে এখনও জানতে পারিনি কে আমার ভাইয়ের হত্যাকারী।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন আর পুলিশের কারও সঙ্গেও আমাদের কথা হয় না। আমরা বুঝতে পেরেছি,এর কিছুই হবে না। বিচারের ভার আল্লাহর কাছেই ছেড়ে দিয়েছি।’

ইরফানুল ইসলাম ছিলেন দৃকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। অ্যাকাউন্টসও দেখতেন। ১৯৯৩ সালে দৃক গ্যালারিতে যোগ দেন ইরফানুল ইসলাম। তার স্ত্রীর নাম জোহরা বেগম। একমাত্র ছেলে ইফতেখারুল ইসলাম উম্মাম। তারা রাজধানীর হাজারীবাগ থানার মনেশ্বর রোডের ৩৭/১ বাসায়  বসবাস করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার লোহাগড়ার আমতলায়।

 

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর
বাগেরহাটে কৃষককে পিটিকে হত্যা
বাগেরহাটে কৃষককে পিটিকে হত্যা
একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন