X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পৌর নির্বাচন: আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ইসির সন্তুষ্টি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:২১আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:২৪

দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো পৌর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. আবু হাফিজ ভোটারদের উপস্থিতির বিষয়ে সন্তুষ্টির কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘আমরা কোনও অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেলা দেড়টা পর্যন্ত ১৪টি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। আমরা চাই নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসুক ভোটাররা। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে।’

বুধবার সকাল আটটা থেকে দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ভোটেকেন্দ্রের দেড় কিলোমিটার দূরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন।

আবু হাফিজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে আমরা সন্তুষ্ট। দুটি দলও আমাদের কাছে এসেছে, তাদের কথাও শুনেছি। তারাও ভালোভাবে দেখছে।

ভোটারদের উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, এবার দলীয়ভাবে পৌর নির্বাচনের ভোট হচ্ছে, ভোটার উপস্থিতি একটু বেশিই থাকবে। নারী ভোটারের উপস্থিতিও বেশ।  

সকালে ভোট শুরু হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নিতে  সরকারি কারসাজি করছে। অপরদিকে দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, পরাজয়ের আশঙ্কায় বিএনপির প্রার্থীরাই বিভিন্ন স্থানে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিচ্ছে।

এবারের পৌর নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১২ হাজার ১৭১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮ হাজার ৭৪৬জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৪৮০জন প্রার্থী রয়েছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে চার ধাপে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ২৩৪টি পৌরসভার সবগুলোতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বিপরীতে বিএনপি প্রার্থী ২২৩টি পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৭৪টি পৌরসভায় বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও আওয়ামী লীগের বিপরীতে লড়ছেন। ৩৬টি পৌরসভায় ১৪ দলীয় জোটভুক্ত ৪টি শরিক দলের প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে কাজ করছেন। এর মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২১টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ৬টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৮টি ও তরিকত ফেডারেশনের ১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে ২০১১ সালে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৬টি পৌরসভায় এগিয়ে ছিল। ওই সময়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলেও দলগুলো সরাসরি প্রার্থী সমর্থন দিয়েছিল। ২০১১ সালের ১২ থেকে ১৯ জানুয়ারি চার ধাপে অনুষ্ঠিত ২৪২ পৌরসভা ভোট হয়। এর মধ্যে তাৎক্ষণিক ফলাফল ঘোষিত ২৩৬টি পৌরসভায় বিদ্রোহীসহ ১০৯টি আওয়ামী লীগ ও ১০৩টিতে বিদ্রোহীসহ বিএনপি জয় পেয়েছিল। এ ছাড়া জামায়াতের ৫ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন, এলডিপির ১ জন ও নির্দলীয় ১৬ জন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
নির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
শনিবার জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভানির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ