X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াতকে একমঞ্চে আনার উদ্যোগ বিএনপির, যুগপৎ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা

সালমান তারেক শাকিল
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৪৭আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:২৩

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে একমঞ্চ থেকে সরকারবিরোধী কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে চলছে এই পরিকল্পনা।

জামায়াতের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে বিষয়টিকে শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থায় আনার কাজটি করছেন দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য এবং তার সঙ্গে রয়েছেন দলের ডানপন্থী কয়েকজন নেতাও। এই পরিকল্পনা ও আলোচনাকে কেন্দ্র ইতোমধ্যে বিএনপির যুগপতে যুক্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

দলের উচ্চপর্যায়ে জামায়াতকে একমঞ্চে আনার আলোচনায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিএনপির নেতাদের মধ্যেও। এ বিষয়ে স্ব পরিচয়ে কেউই মন্তব্য করতে আগ্রহ দেখাননি।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, জামায়াতের সঙ্গে মিলে একমঞ্চ বা একটি ব্যানারে আন্দোলনে গেলে তাতে রাজনৈতিক লাভ কার দিকে যাবে— সে বিষয়টিকে সামনে রাখা। তাহলে স্পষ্ট হবে— কেন জামায়াতকে টেনে আনা হচ্ছে এক মঞ্চে। গত পাঁচ বছর ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি যে ‘গ্রহণযোগ্যতা’ দাঁড় করিয়েছে, সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করলে কার লাভ?

প্রভাবশালী একজন নেতা বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সামনে বিএনপি পরিষ্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও তাদের আন্দোলনের কথা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। সরকার একমুখী নির্বাচন করে যে তোপের মুখে পড়বে, তাও স্পষ্ট। দ্বিতীয়ত, এককভাবে বিএনপিই দেশের অভ্যন্তরে অধিকাংশ বিরোধী দলকে যুগপৎ ধারায় যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এ অবস্থায় প্রত্যেকে সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচিতে আছে। এ সময়ে এসে জামায়াতকে সঙ্গে নিলে যে ‘পলিসিগত বার্তা’ তৈরি হবে, তা কি বিএনপির পক্ষে যাবে?’’ এমন প্রশ্ন করেন এই নেতা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা (ফাইল ছবি)

বিএনপিতেও প্রশ্ন, নেতারা আপসেট

বিএনপির দায়িত্বশীল একজন নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনসহ অনেকে যখন কারাগারে, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দেশের বাইরে, তখন দলের অন্য একাধিক নেতা এখন নেতৃত্বের সঙ্গে পলিসি মেকিংয়ে যুক্ত।’

‘আর এ কারণেই বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তনে এর প্রভাব পড়ছে। ফলে এ ধরনের কৌশল প্রণয়নে, যার মধ্য দিয়ে সরকারপক্ষকে সুবিধা দেওয়া হবে, এর পেছনে সরকারের ইন্ধন আছে কিনা, সে প্রশ্ন থেকে যায়…’ বলে দাবি করেন এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পরবর্তীকালে সব দায় এককভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর বর্তাবে।’

স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের ভাষ্য— বিএনপি বিগত পাঁচ বছর ধরে প্রমাণ করলো জামায়াতের সঙ্গে অফিসিয়ালি নেই। এখন তাদের পক্ষে চলে গেলো। বিএনপি যে ইমেজ সৃষ্টি করেছিল, সেই ইমেজ ধ্বংস করার জন্য দলের ভেতরেই একটি পক্ষ কাজ করছে। আমরা আপসেট। দীর্ঘদিন আলোচনার ভিত্তিতে আমরা জামায়াতের সঙ্গে জোটগত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম।

দলের কেন্দ্রীয় আরেকজন নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করাগার থেকে বেরোলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে টার্ন নিতে পারে। এ কারণে সিনিয়র ‍দুই সদস্যসহ স্থায়ী কমিটির তিন জন নেতা চাইছেন— দ্রুততার সঙ্গে জামায়াতের নীতি বাস্তবায়ন করতে। ডে ওয়ান থেকে একজন সদস্য জামায়াতকে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছেন’, বলেও জানান এই নেতা। তার দাবি, ‘এর পেছনে ক্ষমতাসীন দলের যোগাযোগ রয়েছে।’

জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জামায়াতকে নিয়ে এক মঞ্চ করবে কিনা বিএনপি, জানি না। তবে আমি চাই, সবাই মিলে নামুক।’

জামায়াতকে সঙ্গে নিলে দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘এখন জামায়াতের যে ফোর্স, তারা যদি মনে করে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হবে, তাহলে তাদের নেওয়া উচিত।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা, ছবি: দলের প্রচার সেলের সৌজন্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ব্যানারের নাম নিয়ে নানা মত আছে। এসব ফাইনালাইজড হয়নি।’

গণতন্ত্র মঞ্চের আপত্তি

এ প্রসঙ্গে একটি বিরোধী দলের প্রধান বলেন, ‘বিএনপিতে আলোচনা চলছে জামায়াতকে নিয়ে একটি মঞ্চ বা একটি ব্যানারে (সম্মিলিত বিরোধী দলীয় মঞ্চ বা জোট) সব বিরোধী দলকে নিয়ে কর্মসূচিতে নামা। তাদের দলের একটি অংশের নেতারা মনে করছেন, যেহেতু তারা বেরোতে পারছেন না, তাদেরকে জামায়াতের সহায়তা নিয়ে রাজপথে ফিরতে হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে এরকম কোনও সম্ভাবনা থাকলে, নিশ্চিতভাবে সেই মঞ্চে অনেকে থাকবে না।

যুগপতে যুক্ত কয়েকটি বিরোধী দলের নেতারা জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুগপতে যুক্ত হয় জামায়াত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। সেদিন মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপি থেকে অনীহা দেখানো হলে জামায়াত বিরত থাকে। এরপর দীর্ঘ কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুনে এসে দুই পক্ষের সম্পর্কে উষ্ণতা তৈরি হয়, এরই রেশ ধরে গত ২৮ অক্টোবর থেকে যুগপতে যুক্ত হয়। প্রসঙ্গত, ওই দিন পুলিশের অনুমতি না পেলেও সমাবেশ করে জামায়াত।

গণতন্ত্র মঞ্চসহ যুগপতে যুক্ত নেতারা বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যেভাবে আছে, সেটি অব্যাহত থাকলে তাদের আপত্তি নেই। তবে জামায়াতের সঙ্গে একমঞ্চে ওঠা বা এক ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া গণতন্ত্র মঞ্চসহ কয়েকটি দলের আপত্তি রয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক (ফাইল ছবি) মঞ্চের একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জামায়াতের সঙ্গে একমঞ্চে আসার বিষয়টি বিএনপির পক্ষ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চকে জানানোর পর জরুরি মিটিং করে মঞ্চ। মিটিংয়ের পর বিএনপিকে জানানো হয়েছে, জামায়াতকে এখন এক মঞ্চে তোলার মানেই হচ্ছে পুরো বিদ্যমান রাজনীতি ও বিএনপির সম্ভাবনা নষ্ট হওয়ার নামান্তর। এ ধরনের মুভ করা সঠিক হবে না বলেও বিএনপিকে জানানো হয়েছে।

মঞ্চের সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী একজন সদস্যের সঙ্গে আলাপকালে মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জামায়াতকে সঙ্গে নিলে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি হবে। আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক হবে না। বরং যুগপৎ ধারায় সন্দেহ, অবিশ্বাস সৃষ্টি হবে।

মঞ্চের প্রভাবশালী একজন নেতা বলেন, ’৩১ দফা ও এক দফার ভিত্তিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ-এ যুক্ত হয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আর এর মূল ভিত্তিই ছিল জামায়াত থাকবে না। যে বিষয়টি সেটেলড, সেটিকে ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে দেড় বছরের আন্দোলনের যে ইমেজ একা দাঁড় করিয়েছে বিএনপি, সেটিকে প্রত্যাখ্যান করার নামান্তর। আর জামায়াতকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেই বিএনপি অনেক দলের নৈতিক সমর্থন পেয়েছে। ফলে এক মঞ্চে আসার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে। আর বিষয়টা এমন নয়— জামায়াত যোগ দিলে সরকার পড়ে যাবে।

জামায়াতসহ মঞ্চে যারা থাকছে

বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াতকে একমঞ্চে বা এক ব্যানারে নিলে ইসলামী আন্দোলন যুক্ত হবে না। আলাদাভাবে আন্দোলন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, তাদেরও সুযোগ নেই। গণতন্ত্র মঞ্চ সেই উদ্যোগে থাকবে না। এক্ষেত্রে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম (একাংশ)সহ বিএনপির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে জোটের শরিক ২০-২৫টি রাজনৈতিক দল যুক্ত হতে পারে।

জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে এক মঞ্চের আসার বিএনপির উদ্যোগের পক্ষে অবস্থান ব্যাখ্যা করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘যেভাবে বিচ্ছিন্নভাবে যুগপৎ আন্দোলন চলছে, তাতে সাফল্য আসবে না। ঢাকায় মিছিল হচ্ছে। যুগপতের অনেক দল হয়তো ঢাকায় মিছিল করছে, কিন্তু ঢাকার বাইরে বিএনপি ছাড়া অন্য কোনও দলের সেই তৎপরতা নেই। বিএনপি কিন্তু ইউনিয়ন অব্দি করছে। জামায়াতেরও লোকবল আছে।’

‘এখন বিএনপি, জামায়াতসহ সবাই মিলে এক ব্যানারে এসে কর্মসূচি দিলে কার্যকর পদক্ষেপ হবে। মানুষ চাইছে সব বিরোধী দল এক মঞ্চে আসুক। যদি এক প্ল্যাটফরমে আনা যায় সব দলকে, তাহলে ইফেক্টিভ হবে।’ মনে করেন নুর।

গণফোরাম ও পিপলস পার্টির মিছিল গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিএনপি আমাদের সঙ্গে এখনও শেয়ার করেনি বিষয়টি। তবে বিষয়টি পরিষ্কার যে, সরকার যে পোড়ানীতি গ্রহণ করেছে, তাদেরকে কন্টিনিউ করলে দেশের বারোটা বেজে যাবে। যারা এই সরকারকে চায় না, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, তারা সবাই মিলে এক জায়গায় আসতেই পারে।’

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে, ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেওয়া এবং যুগপৎ ধারায় আন্দোলনের যাওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য ছিল বিএনপি ও জামায়াতের। এখন নতুন করে একমঞ্চে আনার বিষয়টি পুরোপুরি তাৎপর্যমূলক, পেছনে রহস্য আছে।

সূত্র জানায়, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে যারা রাজপথে নামতে চাইছে তাদের ব্যাখ্যা— এই সরকার নির্বাচন যেন করতে না পারে। কিন্তু সরকার একতরফা নির্বাচন করলে ক্ষতি তো বিএনপির কেবল নয়, এটা তো রাষ্ট্রের ক্ষতি, যা এরইমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নুরুল হক নূরের ব্যাখ্যা, ‘যুগপতে ইসলামী আন্দোলন নেই। তারা করলো একদিন, আমরা করি একদিন। আন্দোলনের যে গতি দরকার, যে গতির মধ্য দিয়ে সরকারকে চাপে রাখা যাবে, সেই গতি নেই। কিন্তু আলাদা না করে সবাই মিলে যদি ঢাকার ২০টি পয়েন্টে অবস্থান নেই, তাহলে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিভক্ত হয়, তাদের শক্তি ক্ষুদ্র হয়। বিচ্ছিন্নভাবে সকালে-বিকালে নেমে আন্দোলনে সফল হওয়া ডিফিকাল্ট। যেহেতু জামায়াতের শক্তির ওপর সবাই ইতিবাচক, আমি নিজেও শুনেছি, সেখানে তাদের সঙ্গে নিলে সমস্যার কিছু দেখি না।’

জামায়াত প্রসঙ্গে নুরুল হক বলেন, ‘তাদের যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল তাদের সাজা হয়েছে, ফাঁসি হয়েছে। এখন তো অসুবিধা থাকার কথা না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতের সঙ্গে মিটিং করেন, কিন্তু বিএনপি মিটিং করলেই সমস্যা। সরকার তো জামায়াতকে ৩৫ আসনের অফার দিয়েছিল। এখন যেহেতু ঐক্যবদ্ধ হলে আন্দোলন কার্যকর হবে, জামায়াতকে নিয়ে যারা ইস্যু তৈরি করছে, তারা সমস্যা। আসলে যারা এটা করছে তারা সরকারের পদত্যাগ চায় না।’

যুগপৎ ধারায় যুক্ত একটি দলের প্রধান উল্লেখ করেছেন, ‘এই সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ ধারায় আন্দোলনের প্রস্তাবনা বাম ও প্রগতিশীল দলগুলোর পক্ষ থেকে বিএনপির কাছে তুলে ধরা হয়েছে প্রথম। যেহেতু আদর্শিক, রাজনৈতিক মতপার্থক্য বিদ্যমান কিন্তু প্রত্যেকেই এই সরকারের বিরুদ্ধে, সে কারণে সমাধানসূত্র হিসেবে যুগপৎ ধারা চালু হয়েছে। আবার এও ঠিক, অধিকতর ঐক্যের প্রত্যাশায় কেউ যদি ঐক্যবদ্ধ হোন, হবেন। এক্ষেত্রে অনেকে যুক্ত হবে, আবার অনেকে হবে না।’

গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল (ফাইল ফটো)

নুরুল হক নুর বলেন, ‘বিভাজিত থেকে নয়, ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এক প্ল্যাটফরমে আসতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখন যারা যুগপৎ ধারায় আন্দোলনে আছি, তারা সবাই চাই সব বিরোধী দল রাজপথে স্ব-স্ব জায়গা থেকে সরকারের একতরফা নির্বাচনি তৎপরতা ও জবরদস্তির জায়গা থেকে দেশকে বিপদের মুখ থেকে ফেরাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক। দেড় বছর ধরে যুগপৎ ধারা অব্যাহত আছে। মানুষ চাইছে সব বিরোধী দল একসঙ্গে নামুক। যারা যুগপতের বাইরে আছে, মানুষ চায়— সবাই ফাইনাল স্টেজে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ভূমিকা রাখবে।’

যুগপৎ ধারায় কর্মসূচিতে কিছুটা সমস্যা থাকার কথা উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘বিএনপির নেতারা জেলে থাকার কারণে সমন্বয়ের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আরও সমন্বয় ও আরও বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সমন্বয়ের সমস্যা কাটানো সম্ভব। এক্ষেত্রে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দেবেন।’

আরও পড়ুন:

আবারও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচিতে যুক্ত হচ্ছে জামায়াত

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
চরমোনাই পীরের ভাইয়ের বাসায় জামায়াতের ৯ নেতা
পরাজয় ঢাকতে অভিযোগ তুলছে বিএনপিনির্বাচনে অংশ নিতে জাপার ওপর চাপ ছিল: জি এম কাদের
শনিবার জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভানির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ