X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগে নিজের ঘরের মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন: মির্জা ফখরুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ মে ২০১৮, ১৯:০৫আপডেট : ২১ মে ২০১৮, ২০:২৭

খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিল


দেশব্যাপী চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সারাদেশে এখন নতুন একটা অভিযান শুরু হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযান, ভালো কথা। সবার আগে নিজের ঘরের মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করুন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের ‘পুস্পদাম রেস্টুরেন্টে’ ২০ দলীয় জোটের শরিক দল খেলাফত মজলিশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের এমপি কক্সবাজার-টেকনাফের, তাকে তো জামিন দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি মহা আনন্দে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন। এমন একজন দুই জন নয়, অসংখ্য, প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায়, তাদের ছেড়ে দিয়েছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে জঙ্গি অভিযান শুরু করলেন। সেই জঙ্গি নির্মূল অভিযান করতে গিয়ে যারা ভিন্নমত পোষণ করে, তাদের ওপর অত্যাচার করেছেন। যেই আপনাদের সঙ্গে একমত হয়নি, অমনি তাদের জঙ্গি আখ্যায়িত করে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। যত মামলা হয়েছে, একটিও নিষ্পত্তি করা হয়নি। দেখা যাচ্ছে যাদের বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে, তাদের জঙ্গি হিসেবে নাম দিয়ে। কোনও তদন্ত ছাড়াই এ সমস্ত করা হয়েছে। গত ৪-৫ দিনে ৬ জনকে ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা অবশ্যই চাই, দেশ মাদকমুক্ত হোক। আমরা অবশ্যই চাই, যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। মাদক নির্মূল করা হোক। তার অর্থ এই নয় যে, বিনা বিচারে মানুষকে হত্যা করা হবে। গোটা বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের নামে, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের নামে বহু বিরোধী পক্ষকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইলিয়াস আলীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, চৌধুরী আলমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৫-৬ বছর পার হয়ে গেছে। ’’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচারের নামে যা খুশি তাই করছেন। দেখুন কত সংকীর্ণ এরা (সরকার)। মামলাগুলো মিথ্যা। ৩৬টি মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাতে অভিযোগ আনা হয়েছিল, বাসে আগুন দিয়েছেন, গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন ইত্যাদি। এই মামলাগুলো যখন হাইকোর্টে জামিনের জন্য এসেছে, সেখানে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বাধা দিয়েছেন।’দেশের অর্থনীতি ও আর্থিকখাতে দুর্নীতি, মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট, শিক্ষা ব্যবস্থার অনিয়ম তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, ‘আজ কথা বলার সুযোগ নেই। প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। জেল-জরিমানা নিত্যসঙ্গী। নেতাকর্মীরা নিরাপদে বাসায় ইফতার করতেও পারে না। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে।’
খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ইফতারে জামায়াতে ইসলামির মিয়া গোলাম পারওয়ার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) মাওলানা আবদুর রকীব, এলডিপি‘র রেদোয়ান আহমেদ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির দুই অংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এমদাদুল হক চৌধুরী, শামসুদ্দিন পারভেজ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (একাংশ) শেখ মুজিবর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের (একাংশ) মাওলানা মাওলানা জাফরুল্লাহ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারওয়ার, সাংবাদিক মহিউদ্দিন আলমগীর মোস্তফা কামাল মজুমদার, আবদুল হাই শিকদার, অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক মোজাহিদুল ইসলাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি বাসির জামাল,খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা শফিক উদ্দিন, মীর মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, শেখ গোলাম আসগর, মুহাম্মদ মুনতাসীর আলীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ইফতারে অংশ নেন।
ইফতারের আগে কারাবন্দি জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও খেলাফত মজলিশের অসুস্থ আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাকের আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 



/সিএ/এসটিএস/এএম/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা