আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে ‘সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার’ নিয়ে সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা কিছু কথা বলেছেন। এটা আমাদের দেশে হয় না। পৃথিবীর কোনও গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের নিয়ম নেই। তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে সংলাপ শেষ, তবে আলোচনা চলবে।’
বুধবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সরকারের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার’ নিয়ে সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা কিছু কথা বলেছেন। এটা আমাদের দেশে হয় না। পৃথিবীর কোনও গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের নিয়ম নেই।’ তিনি বলেন, ‘তবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। টাস্কফোর্স হিসেবে তারা যেখানেই প্রয়াজন, সেখানেই কাজ করবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে বুধবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঐক্যফ্রন্টের ১১ জন নেতা সংলাপে বসেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ ১১ নেতা গণভবনে প্রবেশ করেন। সংলাপে অংশ নেওয়া ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, দলের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, দলের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের পক্ষে ছিলেন— আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ডা. দীপু মণি, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, স ম রেজাউল করিম, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১ নভেম্বর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ করে।